ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাকা নিয়ে মাদক বিক্রেতাকে ছেড়ে দেয়ায় জনতার রোষানলে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ২৫ আগস্ট ২০১৫

টাকা নিয়ে মাদক বিক্রেতাকে ছেড়ে দেয়ায় জনতার রোষানলে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২৪ আগস্ট ॥ মির্জাপুরে দুই মাদক বিক্রেতাকে আটকের পর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে থানার দুই পুলিশকে আটক করে মারপিট করেছে জনতা। সোমবার সকালে উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই দুই পুলিশকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসী জানান, পোষ্টকামুরী গ্রামের আমিনুরের স্ত্রী রুমা বেগম ও তার ছেলে রানা দীর্ঘদিন যাবত তার বাড়ি থেকেই হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন। পুলিশ ওই বাড়িতে মাঝেমধ্যেই অভিযান চালালেও তাদের গ্রেফতার করা হয় না। সোমবার সকালে মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সিরাজুল ও কনস্টেবল সেলিম মোটরসাইকেল নিয়ে আমিনুরের বাড়িতে যান। বসতঘরের ভেতর আমিনুরের স্ত্রী রুমাকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়। পরে আমিনুরের ছেলে রানা টাকা দেয়ার কথা বলে কনস্টেবল সেলিমকে নিয়ে মির্জাপুর বাজারে আসেন এবং মোটা অংকের টাকা দেন। টাকা পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সিরাজুল ও সেলিম রুমার হ্যান্ডকাপ খুলে দেয়। এদিকে এ ঘটনা এলাকাবাসী জানতে পেয়ে ওই দুই পুলিশসহ রুমাকে ঘরের ভেতর প্রায় এক ঘণ্টা আটক করে রাখেন। পরে ওই দুই পুলিশ ঘর থেকে বেরিয়ে চলে আসার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাদের কিল ঘুষি মারেন। এ সময় রুমা ও ওই দুই পুলিশ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সিরাজুল ও সেলিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে উত্তেজিত জনতা শান্ত হন। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাইন উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রুমার স্বামী আমিনুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় এএসআই সিরাজুল ও কনস্টেবল সেলিম তাকে গ্রেফতার করতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। পুলিশ ও জনতার ঘটনাটি আনাকাক্সিক্ষত বলে তিনি উল্লেখ করেন। পার্বতীপুরে ফুঁসে উঠেছেন গৃহবধূরা নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর থেকে জানান, পার্বতীপুর পৌর এলাকার কালীবাড়ী মহল্লার বিক্ষুব্ধ গৃহবধূরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাবলিক স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় এই প্রতিবাদ কর্মসূচী রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। গৃহবধূরা জানান, মাদকের কারণে স্কুল ও কলেজগামী ছেলেদের নিয়ে তারা বিপদে রয়েছেন। তাদের জীবন-যাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ থেকে তারা মুক্তি চান। জনৈক কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা রেলের পরিত্যক্ত কোয়াটারে ঠাঁই নিয়ে বেপরোয়াভাবে মাদকসহ অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। রাত-দিন তার আস্তানায় নেশাগ্রস্ত লোকজনের আনাগোনা। নিষেধ করায় উল্টো হুমকি দেয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও তারা প্রতিকার পাননি। সমাবেশে যোগ দেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ এস এইচ সাজ্জাদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনআরা শাহী, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। মদসহ পৌরমেয়র আটক স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, নড়াইল পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোস্তফা কামাল মোস্ত যশোরে মদসহ আটক হয়েছেন। রবিবার রাতে শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার গাড়ি থেকে ২ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকা থেকে নড়াইল পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোস্তফা কামাল মোস্তর গাড়ি আটক করে। পরে তার গাড়ি তল্লাশি করে ২ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাকে গাড়িসহ পার্শ্ববর্তী চাঁচড়া ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
×