ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফের ফেরি চলাচল বন্ধ ॥ আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ২৫ আগস্ট ২০১৫

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফের ফেরি চলাচল বন্ধ ॥ আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২৪ আগস্ট ॥ এবার ভোলার ইলিশা বিশ্ব রোডের নতুন ফেরিঘাট মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে ধসে গেছে। এতে গত দুইদিন ধরে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট ও লক্ষ্মীপুরের মৌজু চৌধুরী ঘাট এলাকায় কয়েক শ’ যানবাহন আটকা পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত ঈদ-উল-ফিতরের দিন থেকে ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়। ২৬ জুলাই ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সহজ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ১৫ দিন বন্ধ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর বিআইডিব্লিউটিএ ইলিশা বিশ্ব রোডের মাথায় দ্বিতীয় ফেরিঘাট নির্মাণ করলে পুনরায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আবার মেঘনার ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ধসে পড়ে নতুন ফেরিঘাটের এপ্রোচ সড়ক। এতে করে ফেরিতে যানবাহন উঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ইলিশা ঘাটে শতাধিক যানবাহন চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। কবে নাগাদ ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে তাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। ভোলা ফেরি সার্ভিসের সহকারী ব্যবস্থাপক সিহাব উদ্দিন জানান, ফেরিঘাটের এপ্রোচ রোডের মাথার পাইলিং এবং গ্যাংওয়ের নিচের মাটি ধসে পড়ায় পল্টুন স্থাপন করা যাচ্ছে না। এছাড়া মেঘনা নদীর পানির প্রচ- স্রোত ও ভাঙ্গনের কারণে গ্যাংওয়ে স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ ফেরিঘাট মেরামতের কাজ শেষ করলে ফেরি চলাচল শুরু করবে। রাবিতে নির্যাতন দিবসে আঘাত প্রতিহত করার আহ্বান রাবি সংবাদদাতা ॥ ‘আঁধারই শেষ কথা নয় সূর্যটাও আছে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার বেলা ১১টায় সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের এই দিনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের উপর নির্যাতন করা হয়নি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর একটা বড় আঘাত। পরবর্তীতে এসব আঘাত যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়কের নামে সেনা সরকার গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে ছাত্র-শিক্ষকের উপর নির্মম নির্যাতন করেও আমাদের আন্দোলনের মুখে তারা সফল হতে পারেনি। বাংলাদেশের জন্ম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং সামনের আন্দোলনেও করবে। রাবি উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাবেক উপাচার্য প্রফেসর সাইদুর রহমান খান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর মলয় ভৌমিক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ। এদিকে, ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টার দিকে অনুশীলন নাট্যদলের পক্ষ থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়।
×