ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০ ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ ॥ তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ২৫ আগস্ট ২০১৫

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০ ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ ॥ তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৪ আগস্ট ॥ পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজী সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ২০ ছাত্রীর অভিভাবক যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সোমবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এতে বলা হয়, শিক্ষক আক্তারুজ্জামান ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর সময় যৌন হয়রানি করে আসছে। এ ঘটনার প্রতিকার ও শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের বিচার দাবি করেন অভিভাবকরা। যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই সপ্তম শ্রেনী (প্রভাতি) শাখার ছাত্রী। এ ঘটনায় একই স্কুলের শিক্ষক মৃনাল কান্তিকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। অপরদিকে একই স্কুলের ব্যানিজ্য বিভাগের শিক্ষক মতিউর রহমানের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় এক ছাত্রীকে ক্লাসে মানসিক নির্যাতন, কটুক্তি ও শাস্তি দেয়ায় রবিবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফজলুর রহমানের মেয়ে ফারহানা আমবেরিন লিওনা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিউর রহমানের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় তিনি ক্লাসে ছাত্রীদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। এ ঘটনায় আক্তারুজ্জমান বলেন, আপনি সন্ধ্যার পর ‘বায়োসেফ’ ক্লিনিকে আসেন। সেখানে কথা হবে। মতিউর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। বগুড়ায় সহকর্মীকে শয্যাসঙ্গী করতে না পেরে হত্যা! স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ এক এনজিও নারী কর্মীকে তারই পুরুষ সহকর্মী যৌন হয়রানি এবং পরে সম্ভোগের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে নারীর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়। এই ঘটনা বগুড়ার শাজাহনপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামের। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। উপজেলার লক্ষ্মীকোলা কাজিপাড়া গ্রামের উম্মে হানি (২৩) গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) নামের বেসরকারী সংস্থার জামালপুর এলাকায় মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গাক শাখা অফিসের পাশেই বাড়িভাড়া করে তিনি ও তার সহকর্মী মাহমুদা থাকতেন। এই অফিসেরই ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উম্মে হানিকে পেতে যৌন হয়রানি করে। এক পর্যায়ে শনিবার বিকেলে উম্মে হানিকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করার পর জোর করে মাত্রাতিরিক্ত ইদুর মারা বিষ গ্যাস বড়ি খাইয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত দশটার দিকে সে মারা যায়।
×