নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৫ আগস্ট ॥ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উদাসীনতার কারণে নেত্রকোনা শহরের প্রধান দু’টি সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার গর্ত আর খানাখন্দকে ভরা এ দুটি সড়কে চলতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
নেত্রকোনা পৌরশহরের এ সড়ক দু’টি হচ্ছে রাজুরবাজার-পারলা বাসস্ট্যান্ড সড়ক এবং মোক্তারপাড়া সেতু-বনোয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড সড়ক। এ দু’টিই মূলত শহরের প্রধান সড়ক। শহরের প্রধান প্রধান সব বাজার, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিপণী বিতান এ সড়ক দু’টির পাশে অবস্থিত। এছাড়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, বারহাট্টা, আটপাড়া ও মদন উপজেলার সব ভারি যানবাহন চলে এ সড়ক দু’টি দিয়ে। জানা গেছে, প্রায় তিনবছর আগে সড়ক দু’টি সংস্কার করা হয়। এর পর আর সংস্কার না করায় সড়ক দু’টিতে হাজার হাজার গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি আটকে সয়লাব হয়ে গেছে কাদায়। সামান্য বৃষ্টির পর এসব সড়কে আর হাঁটার উপায় থাকে না।
মোহনগঞ্জে দেড় কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দ
নিজস্ব সংবাদদাতা, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা থেকে জানান, নেত্রকোনা-ধর্মপাশা সড়কের মোহনগঞ্জ পৌর শহরের অংশে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বৃষ্টির পানি জমে দু’বছর যাবৎ ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, মোহনগঞ্জ পৌর শহরের মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড হয়ে বিএনপি কার্যালয়ের মোড়, মোহনগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের মোড় থেকে হাসপাতাল রোডের বসুন্ধরা মোড় হয়ে নারী প্রগতি সংঘ কার্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেট থেকে উত্তর দৌলতপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
যশোরে চালু হয়নি শিখবে শিশু পাঠদান কার্যক্রম
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গত দেড় বছরেও পরিপুর্ণভাবে চালু হয়নি শিখবে প্রতিটি শিশু পাঠদান কার্যক্রম। জেলার ৮ উপজেলায় ১ হাজার ২৮৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে কার্যক্রম চালু হয়েছে মাত্র ২০টিতে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে এ কার্যক্রম চালু হয়। পাইলট প্রকল্পের অধীনে সদর উপজেলার মাত্র ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখবে প্রতিটি শিশু কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ কার্যক্রম ২০টি বিদ্যালয়ে চালু হলেও অবকাঠামো সমস্যার কারণে সুষ্ঠুভাবে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে উপশহর ডি ব্লক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন্নাহার জানান, শিখবে প্রতিটি শিশু পদ্ধতিতে পাঠদান করাতে হলে ক্লাস নিতে হবে ৩০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীর। তাদের দলগতভাবে এ শিক্ষা দিতে হয়। কিন্তু শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটের কারণে এক শ্রেণীতে বেশি শিক্ষার্থী হওয়ায় এ পদ্ধতিতে সঠিক পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: