ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দাম নিম্নমুখী

এক সপ্তাহের মধ্যে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৭ আগস্ট ২০১৫

এক সপ্তাহের মধ্যে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার, চীন, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে। ভারত থেকে আমদানি মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার অস্থিতিশীল পর্যায়ে চলে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির যে এলসি করা হয়েছে এর বিপরীতে এসব পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছুবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে ভারত ছাড়া অন্য কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে বাজারমূল্যের উর্ধগতি থমকে গেছে। বুধবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ২ থেকে ৩ টাকা হারে কমেছে। তবে ইতোপূর্বের প্রতিদিন যে পরিমাণে দেশের একক বৃহত্তম এই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের চালান এসে পৌঁছত এবং বিক্রি হত তা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। পেঁয়াজের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের সকলের অবস্থা একই। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন পেঁয়াজ কেউ নিচ্ছে না। ফলে আগে খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ ট্রাক বোঝাই পেঁয়াজ যেখানে আসত সেখানে তা ৫ থেকে ৭ ট্রাকে নেমে এসেছে। এর পাশাপাশি বিক্রির পরিমাণও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশন সূত্র বুধবার বিকেলে জানিয়েছে, ভারত দফায় দফায় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দেয়ায় সীমান্তের স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটগুলো অধিক মুনাফা লাভে তাদের ইচ্ছামত দামে পেঁয়াজ ছেড়েছে বাজারে। যার ফলে এ বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যায়। দাম বাড়তে বাড়তে কোথাও কোথাও কেজি প্রতি পেঁয়াজের মূল্য একশ টাকায়ও উন্নীত হয়। গত মঙ্গলবার থেকে আবার দাম হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামী একসপ্তাহের মধ্যে আমদানির পেঁয়াজ এসে পৌঁছুলে দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে যেতে বাধ্য। বুধবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, ভারতীয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং পাকিস্তানী ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে সরবরাহের কোন ঘাটতি নেই। সে তুলনায় ক্রেতাও ছিল না। আগে যে পরিমাণে প্রতিদিন পেঁয়াজ পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে যেত তা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ভোক্তারা পেঁয়াজের চাহিদাও কমিয়েছে। সবমিলে অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক পর্যায় থেকে ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়েছে, বাজারের অস্থিতিশীলতা একেবারে সাময়িক। আশা করা হচ্ছে অচিরেই এ অস্থিরতার অবসান ঘটবে।
×