স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট জমিসহ একটি দ্বিতল বাড়ি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা খুলনা মহানগরীর ২৬, সাউথ সেন্ট্রাল রোডে এ বাড়িটি বরাদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ী ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। বুধবার বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল তাঁর কার্যালয়ে বরাদ্দকৃত বাড়িটির দলিল ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের হাতে তুলে দেন।
এর আগে সাড়ে ১২ শতক জমিসহ দ্বিতল বাড়ির দলিল সম্পাদন করা হয়। দলিলে গ্রহীতা হিসেবে ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও দাতা হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন ট্রাস্টি বোর্ডের সহ-সভাপতি চিত্রশিল্পী হাশেম খান ও ট্রাস্টি সম্পাদক ডাঃ শেখ বাহারুল আলম। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর বিশ্বাস, সাব-রেজিস্ট্রার সাব্বির আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সদস্য, সাংস্কৃতিক কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের যাত্রা শুরু হয় খুলনায়। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ লেখক, গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১৪ সালের ১৭ মে নগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকার ৩৩৪, শের-ই-বাংলা রোডের ভবনে এর উদ্বোধন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের নৃশংসতা, বর্বরতা যথাযথভাবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমিসহ দ্বিতল বাড়ি দেয়ায় ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতনের আর্কাইভ জাদুঘর এখন স্থায়ী ঠিকানা পেল। দলিল গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বান্তকরণে ধারণ করেন, লালন করেন। তিনি সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে চান। ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট এই কাজটিই করছে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংগঠনকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন। জমিসহ একটি দ্বিতল ভবন দিয়ে স্থায়ী ঠিকানা দিয়েছেন। এ জন্য ড. মামুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর বিএমএ ভবন মিলনায়তনে (শহীদ মিলন চত্বর-সাতরাস্তা মোড়) ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, সহ-সভাপতি চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ট্রাস্টি সম্পাদক ডাঃ শেখ বাহারুল আলম এতে উপস্থিত থাকবেন।