স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ টানা ছয়দিন ধরে নাব্য সঙ্কটে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। নাব্য সঙ্কট কাটাতে এই রুটে আপাতত ২-৩ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুর দুটি বড় আকারের ড্রেজার বুধবার থেকে পলি অপসারণে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তা শুরু হয়নি। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই পলি অপসারণ কাজ শুরু হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পদ্মার তলদেশের এই পলি অপসারণ সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মোঃ সুলতান উদ্দিন আহমেদ খান পুরো নৌরুটে ২২ লাখ ঘনমিটার পলি মাটি অপসারণ করতে হবে। তবে যেখানে এখন মূল সমস্যা সেই লৌহজং টার্নিংয়ে প্রায় ২-৩ লাখ ঘনমিটার পলি মাটি আপতত অপসারণ করা হবে। এতে ৫-৭ দিনের মধ্যেই নাব্য সঙ্কট কেটে যাবে।
বিআইডব্লিউটিএ একটি জাহাজে করে ইকো সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে বুধবার আরেক দফা জরিপ কাজ চালায়। তবে পদ্মার প্রচ- স্রোতে কাজ করতে পারছে না জাহাজটি। তাই জরিপ ব্যাহত হচ্ছে। বুধবার বিকেলে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট পরিদর্শন করে বিস্তারিত খোঁজখবর করেন। জরিপ কাজের অগ্রগতি ও কোন প্রক্রিয়ায় খনন করা হবে তা অবগত করা হয়। এ সময় নৌমন্ত্রী বলেন, নাব্য সঙ্কট নিরসনে বিআইডব্লিউটিএ’র চারটি ড্রেজার কাজ করছে। বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মা সেতুর বড় আকারের দুটি ড্রেজার নাব্য সঙ্কট নিরসনে ড্রেজিং শুরু করবে। পরে তিনি জাহাজে করে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুট পরিদর্শন করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: