ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে নতুন প্রকল্প উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২৭ আগস্ট ২০১৫

অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে নতুন প্রকল্প উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে নতুন একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রচলিত স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে পুষ্টি যতœ ও মনোসামাজিক উদ্দীপনা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হবে। নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জের ১৩০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে আড়াই হাজারের বেশি শিশু ও তাদের অভিভাবকদের অংশগ্রহণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ট্র্যানজিশন টু স্কেল অব এ্যান আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ।’ এই প্রকল্প অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের ভাষাগত, অঙ্গ-সঞ্চালনগত, মনোসামাজিক এবং আচরণগত বিকাশে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার আইসিডিডিআরবির সাসাকাওয়া মিলানায়তনে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হয়। অতিরিক্ত সচিব এবং কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের পরিচালক ডাঃ মাখদুমা নার্গিস সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান, সিএইচসি’র পরিচালক ডাঃ হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, এপিআই’র ডেপুটি ডিরেক্টর ডাঃ দুলাল চন্দ্র চৌধুরী। কার্যক্রমটি কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারীদের দ্বারা বাস্তবায়িত হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এক বছর ধরে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে মায়েরা তাদের শিশুদের নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে পুষ্টি যতœ ও মনোসামাজিক উদ্দীপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। প্রকল্প এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরাধীন ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার এ্যাসিস্ট্যান্ট এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরাধীন হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্টদের প্রশিক্ষিত করা হবে যাতে তারা মায়েদের প্রশিক্ষিত করতে পারে। তারা মায়েদের শিশুর পুষ্টি ও বুদ্ধি বিকাশ বিষয়ে করণীয় সচেতন করবেন এবং মায়েরা যাতে সঠিক ভাবে তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন তা নিশ্চিত করবেন। প্রধান অতিথি নাসিমা বেগম অপুষ্টি ও বুদ্ধি বিকাশে সরকারী ও বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপরে আলোকপাত করেন। আর আইসিডিডিআরবির এবং বিশেষভাবে প্রকল্পটির কার্যকরী সফলতার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডাঃ এম আর খান বলেন, প্রকল্পটি থেকে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় উঠে আসবে যা শিশুদের সামাজিক ও মানবিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. জন ক্লেমেন্স বলেন, নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশের শিশুদের জন্য পুষ্টি যতœ ও মনোসামাজিক উদ্দীপনার সমন্বিত কার্যক্রম ইতিবাচক অবদান রাখবে। প্রকল্পের প্রধান পরিচালক, ডাঃ জেনা ডি হামাদানি বলেন, এক বছরব্যাপী মনোসামাজিক উদ্দীপনার এই প্রকল্প অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের ভাষাগত, অঙ্গ-সঞ্চালনগত, মনোসামাজিক এবং আচরণগত বিকাশে ভূমিকা রাখবে। এ গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল শিশু বিকাশ কার্যক্রমকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে। গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জেস কানাডার অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুদের মনোসামাজিক বিকাশের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
×