স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে আরও নতুন দুটি সেতু (নবম ও দশম চীন মৈত্রী সেতু) নির্মাণে চীন সরকার সহায়তা করার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্ভাব্য সেতু দুটি নির্মিত হবে বরগুনা জেলার আমতলী এবং পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায়।
বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী গাও হুচেং। বৈঠক শেষে সেতুমন্ত্রী বলেন, নদী ভাঙনের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণে মূল কাজ ব্যাহত হবে না। যথাসময় সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা জানান তিনি।
আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর নবনির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (আচমত আলী খান সেতু) হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নবম ও দশম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণে সম্মতি দিয়েছে চীন। সেতু দু’টি নির্মিত হবে বরগুনা জেলার আমতলী এবং পটুয়াখালীর গলাচিপায়। এজন্য আমি আবারও চীনের জনগণ ও সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী একটি প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ সফর করছেন। আমরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। পাশাপাশি মাদারীপুরে মোস্তফাপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর নবনির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
চীনকে বিশ্ব অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং এ সম্পর্ক বহুমাত্রিক। আমাদের দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন ইতোমধ্যে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। এর আগে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ছয়টি মৈত্রী সেতু নির্মাণ তারই ধারাবাহিকতা।
মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, চীনের অর্থায়নে পিরোজপুরের কচা নদীর উপর (বেকুটিয়া সেতু) অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে। এ সেতুতে অর্থায়নের জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
সম্প্রতি তার চীন সফরকালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে জি-টু-জি ভিত্তিতে একটি টানেল নির্মাণে চুক্তি সই হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমি চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সড়ক ও সেতু বিভাগের পরিকল্পনাধীন আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং সীতাকু- থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের আদলে চারলেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ।
এছাড়া সেতু বিভাগের আওতায় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণ এবং ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সহযোগিতা চেয়েছি। আগামী অক্টোবরে চীনের প্রসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে এসব প্রকল্পের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: