ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউএস ওপেন

চ্যালেঞ্জ নাদাল-ফেদেরারের

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২৭ আগস্ট ২০১৫

চ্যালেঞ্জ নাদাল-ফেদেরারের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদাল টেনিসের দুই নক্ষত্র। কিন্তু চলতি মৌসুমটা একেবারেই নিষ্প্রভ কেটেছে তাদের। দুই তারকার কেউই কোন গ্র্যান্ডসøাম জিততে পারেননি। সাম্প্রতিক সময়ে ফেদেরার স্বরূপে ফিরলেও নিজেকে হারিয়ে খোঁজছেন নাদাল। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনই এখন তার শেষ কোন মেজর শিরোপা। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডের জীবন্ত কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের গ্র্যান্ডসøাম জয়ের ইতিহাসটা আরও আগের। ২০১২ সালের পর থেকে আর কোন গ্র্যান্ডসøাম জিততে পারেননি টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা। যে কারণে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বছরের শেষ মেজর টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনই তাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নিউইয়র্কে পুরুষ এককেই দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে খেলতে নামবেন পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরার। সদ্যসমাপ্ত সিনসিনাতি মাস্টার্সের ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে পরাজিত করে সপ্তমবারের মতো শিরোপা নিজের করে নেন তিনি। যে কারণেই ব্রিটিশ তারকা এ্যান্ডি মারেকে সরিয়ে এটিপি বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে উঠে আসনে সুইস তারকা। মূলত ইউএস ওপেনেরই প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত সিনসিনাতি মাস্টার্স। আর এই ইভেন্টে জয়ের পরপরই বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নাম্বার স্থানটা ফিরে পান তিনি। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ফেদেরার বিশ্বের এক নাম্বার খেলোয়াড় জোকোভিচকে ৭-৬ (৭/১), ৬-৩ গেমে পরাজিত করে রেকর্ড সপ্তমবারের মতো সিনসিনাতি মাস্টার্সের শিরোপা দখল করে নেন। সেই সঙ্গে মারের কাছ থেকে দ্বিতীয় স্থানটি পুনরুদ্ধার করেন তিনি। এই মারেকেই সিনসিনাতির সেমিফাইনালে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠার পাশাপাশি র‌্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি ঘটে ফেড এক্সপ্রেসের। তাই চ্যালেঞ্জের টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনে দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে যাত্রা শুরু করবেন এই সুইস সেনসেশন। ইউএস ওপেনে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ফেদেরার। কিন্তু সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিলেন সাত বছর আগে। তাই এবার নিজের সেরাটা ঢেলে দিতে মরিয়া তিনি। আর যদি এবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে পারেন তাহলে কেন রোজওয়ালের পর সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন ১৭টি গ্র্যান্ডসøাম জয়ের মালিক। এ বিষয়ে গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়া মারিন চিলিচের কাছে সেমিফাইনালেই হেরে যাওয়া ফেদেরার বলেন, ‘নিউইয়র্কে ২০০৯ সালে পর আর কোনবারই ফাইনাল খেলতে পারিনি। তাই আমি মনে করি এবার আমাকে কঠিন কাজটাই করতে হবে।’ ফেদেরারের পর ১৪,৮৬৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছেন সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ। পুরুষ এককে শীর্ষ ১০জন বাছাই খেলোয়াড়ের মধ্যে পাঁচজনই সাবেক চ্যাম্পিয়ন। সব মিলিয়ে ছয়জন গ্র্যান্ডসøাম বিজয়ী রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ২০১১ চ্যাম্পিয়ন সার্বিয়ান জোকোভিচ। ২০০৪-০৮ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন ফেদেরার, ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন এ্যান্ডি মারে, ২০১০ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন ক্রোয়েশিয়ার মারিন চিলিচ। মারে তৃতীয়, স্প্যানিয়ার্ড নাদাল অষ্টম ও চিলিচ নবম বাছাই হিসেবে খেলতে নামবেন। গতবারের রানারআপ জাপানী তারকা কেই নিশিকোরির অবস্থান চতুর্থ, তারপরই রয়েছেন এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন বিজয়ী সুইজারল্যান্ডের স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কা। তবে ফেদেরারের পর সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি থাকবে রাফায়েল নাদালের ওপর। চলতি বছরে ইতোমধ্যেই ১৪ বার হেরে গেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। যিনি গত বছরের পুরোটা সময় খেলে হেরেছেন মাত্র ১১ বার। ২০১৩ সালে তার হারা ম্যাচের সংখ্যা ৭। আর তার আগেরবার পুরো মৌসুমে মাত্র ছয়বার হেরেছিলেন নাদাল। যে কারণে এবার নিজেকে বড় তারকা মানতে নারাজ স্প্যানিশ এই টেনিস তারকাÑ ‘আমি অবশ্যই কঠিন একটি বছর অতিক্রম করেছি। যে কারণে এই মুহূর্তে নিজেকে বড় তারকা হিসেবে বলতে পারছি না।’ টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছেন নাদাল। যিনি গত এক দশকে প্রথমবারের মতো সবচেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের নিচে নেমে গিয়েছিলেন।
×