ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি আবিষ্কার

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২৭ আগস্ট ২০১৫

ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি আবিষ্কার

ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন গবেষকরা। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে ক্যান্সারের নতুন চিকিৎসায় এবং এমনকি টিউমারের বৃদ্ধি রুখতে যুগান্তকারী হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ো ক্লিনিকের গবেষকদের করা গবেষণা প্রতিবেদনটি নেচার সেল বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। শরীরের স্বাভাবিক কোষের মতোই ক্যান্সার কোষ। কিন্তু ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বা বিভাজন ঘটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। মানুষের শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষ দিয়ে তৈরি। এসব কোষ নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায় এবং পুরনো কোষের জায়গায় স্থান করে নেয় নতুন কোষ। কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। কিন্তু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই কোষের বিভাজন চলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ফলে ত্বকের নিচে মাংসের চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে। গবেষকরা প্রথমবারের মতো সক্রিয় স্তন, ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের ক্যান্সার কোষকে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় নিরীহ নিষ্ক্রিয় কোষে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রক্রিয়া ক্যান্সার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ও বিপজ্জনক রূপান্তরে বাধা দেয়। এটি অনেকটা দ্রুতগামী গাড়ির ব্রেকের মতো কাজ করছে। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, মাইক্রো আরএনএএস দেহ কোষের বিভাজন বা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। কোষকে পিএলএকেএইএ৭ নামের আমিষ উৎপাদনের নির্দেশ দেয় এটি। সঠিক মাত্রায় আমিষটি উৎপাদিত হলেই বন্ধ হয়ে যায় কোষ বিভাজন। ক্যান্সার কোষে সঠিক মাত্রায় থাকে না এ আমিষ। গবেষকরা ক্যান্সার কোষে মাইক্রো আরএনএএস ঢুকিয়ে দেন। তারপর দেখতে পান সঠিক মাত্রায় এ আমিষ উৎপাদিত হচ্ছে ক্যান্সার কোষে। একই সঙ্গে ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বিভাজনও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গবেষণাগারে মানুষের কোষে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। তবে গবেষকরা আশা করছেন, একদিন এই প্রক্রিয়া ক্ষতিকর টিউমারের উপর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। এর ফলে যন্ত্রণাদায়ক কেমোথেরাপি ও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছাড়াই ক্যান্সার ভাল হয়ে যাবে।- টেলিগ্রাফ
×