ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দর ব্যবহারকারীদের সভা অনুষ্ঠিত

বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বে-টার্মিনাল নির্মাণ সময়ের দাবি

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৭ আগস্ট ২০১৫

বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বে-টার্মিনাল নির্মাণ সময়ের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরের উৎপাদনশীলতা ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে বে-টার্মিনাল নির্মাণ ও সার্বিক কার্যক্রমের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বন্দর ব্যবহারকারী স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গঠিত পোর্ট এ্যান্ড শিপিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং সাব কমিটির এক সভায় তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চিটাগাং চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দর ও শিপিং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৈরি পোশাক রফতানি আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের পর চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পতেঙ্গা উপকূলে বে-টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা জরুরী। এ টার্মিনাল নির্মিত হলে জোয়ার-ভাটার জন্য অপেক্ষা না করেই ১০ থেকে ১২ মিটার গভীরতার জাহাজ ২৪ ঘণ্টা সরাসরি ভিড়তে পারবে। ৫ হাজার কন্টেইনারবাহী বড় জাহাজ বার্থিংয়ের সুযোগ থাকবে এবং একসঙ্গে ৩৫টি জাহাজ বার্থিং করা যাবে। তাই এ টার্মিনাল নির্মাণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন, মন্ত্রণালয় ও বন্দরের উদ্যোগে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। বক্তারা বলেন, কোন কোন মহল ওই এলাকায় হাউজিং প্রজেক্ট করার চেষ্টা করছে, যা কাম্য নয়। হাউজিং প্রজেক্ট করার মতো চট্টগ্রামে অনেক জায়গা রয়েছে। কিন্তু বন্দর নির্মাণ করার জন্য বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জায়গাই সবচেয়ে উপযুক্ত। আলোচকগণ বন্দরে বর্তমান কন্টেইনার জটসহ অচলাবস্থা নিরসন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকবল নিয়োগ, বিশ্বমানের বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ, ট্রাফিক ব্যবস্থা, অকশন কন্টেইনার ও খালি কন্টেইনার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, আধুনিক ও দক্ষ অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট, বার্থ অপারেটরদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংস্থান, স্ক্যানিং মেশিন, সিটিএমএস ও এসাইকোডা সিস্টেমের ত্রুটিমুক্ত অপারেশন, কাস্টমস, পোর্ট ও আইসিডিসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন স্ট্যান্ডিং সাব কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গোল্ডেন কন্টেইনার লিমিটেডের বেনজির চৌধুরী নিশান, মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল, ওশান ইন্টারন্যাশনালের আতাউল করিম চৌধুরী, সিএ্যান্ডএফ’র কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, মার্কস বাংলাদেশ লিমিটেডের সরওয়ার আলম চৌধুরী, প্রান্তিক শিপিংয়ের ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সরওয়ার, ক্যাপ্টেন আলাউদ্দিন আল আজাদ, বাফা’র আক্তার কামাল চৌধুরী ও অমিয় শংকর বর্মন প্রমুখ।
×