ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৮ আগস্ট ২০১৫

উবাচ

জাপায় বিএনপির লাইন ॥ এরশাদ স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ সময় পর হলেও ক্ষমতার কাছাকাছি সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদ। ক্ষমতায় যেতে না পারলেও রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় নেই। আছেন খোদ বিরোধী দলে। সামরিক শাসক হিসেবে পতনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে এখন তার দল। তাইতো মেজাজ অনেক সময় থাকে বেশ ফুরফুরে। আর ভাল আছেন বলেই এক সময়ের বিএনপির অন্যতম মিত্র এরশাদ সেই দলের নেতাকর্মীদের নিজ দলে ভেড়াতে চাচ্ছেন। যদিও মিত্র বিএনপিই তাকে দীর্ঘ সময় জেল খাটিয়েছিল। এ জন্য তিনি হয়ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বাগিয়ে আনতে চাচ্ছেন। হয়ত প্রতিশোধ হিসেবে। এ কথা উল্লেখ করে অনেক সময় হুঙ্কারও দিচ্ছেন তিনি। এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে লাইন দিচ্ছে। সম্প্রতি রংপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠে জাতীয় পার্টি (জাপা) আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আজ ধ্বংস হওয়ার পথে। তারা যদি আগামী নির্বাচনেও অংশ না নেয়, তাহলে তাদের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশে একজনই পুরুষ আছে ॥ ইয়াফেস ওসমান স্টাফ রিপোর্টার ॥ সব সময় হাস্যরস করেই কথা বলেন তিনি। মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে শুরু করে যে কোন অনুষ্ঠানে ছড়া কবিতা বলে ফেলেন অকপটে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে স্বরচিত ছড়া শুনিয়ে বাহবা পেয়েছেন। হাততালি পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদে উপস্থিত থাকা সকল সদস্যের। তিনি আর কেউ নন খ্যাতিমান সাহিত্যিক শওকত ওসমানের ছেলে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এবার ভিন্ন আঙ্গিকে কথা বলে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ‘বাংলাদেশে একটাই পুরুষ আছে’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের এমন মন্তব্যে সবাই হেসে কুটিকুটি। সপ্তাহজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তার ওই মন্তব্য। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে একটাই পুরুষ আছে। তিনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসলেই ইয়াফেস ওসমান বুঝতে পারেন প্রধানমন্ত্রী একজন পুরুষ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনের কাউন্সিল হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন। ওই আলোচনা সভার আয়োজনে ছিল আইডিইবি (ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ)। বক্তব্য দিতে গিয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান আরও বলেন, জাতির জনক যে কাজ করে যেতে পারেননি আমাদের সৌভাগ্য যে, তার কন্যা শেখ হাসিনা সেই কাজ শেষ করছেন। পিতার শুরু করা সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর রেশ আছে, কিন্তু তার কন্যা আছেন আমাদের সামনে- এটাই আমাদের সান্ত¡না। রেলমন্ত্রীর স্লিপ অব টাং স্টাফ রিপোর্টার ॥ খুব সহজ-সরল করেই কথা বলেন নববিবাহিত রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। কিন্তু সরল কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় গুলিয়ে ফেলেন তিনি। তারপর হাসি। ঠাট্টা। আর মজা। ইংরেজীতে বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে অর্থমন্ত্রীকে ‘প্রাইম মিনিস্টার’ সম্বোধন করে ফেলেছেন তারুণ্যের প্রতীক রেলমন্ত্রী। মনের অজান্তেই এক অনুষ্ঠানে বারবার ভুল করেন তিনি। প্রথম ভুলের পর দ্বিতীয়বার আবারও...। অনুষ্ঠানে সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নাম বলতে গিয়ে ‘আলী রেজা চৌধুরী’ বলেন তিনি। সবাই হয়ত বয়সের দিক বিবেচনায় মেনে নিয়েছেন। এমনটা হতেই পারে। যদিও কথায়, মনোবল আর বিয়েতে তার মধ্যে বার্ধক্যের লেশমাত্র নেই। তবে ভুলের বিষয়টি তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি। কারণ ভুলে ভুলে অবলীলায় বক্তব্য চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই মন্ত্রী। দেশের সবচেয়ে পুরাতন রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজের শতবর্ষ উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী তার বক্তব্যে এই ভুল দুটি করেন। আর ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রীর আগে রেলমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছিলেন। বক্তৃতার শুরুতেই ইংরেজীতে এক-এক করে উপস্থিত অতিথিদের সম্বোধন করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর নামের আগে ‘প্রাইম মিনিস্টার’ বলে ফেলেন তিনি। রেলমন্ত্রীর ওই ‘দুই ভুলে’ বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয় উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে। অবশ্য সেদিকে কর্ণপাত না করে স্বাভাবিকভাবেই বক্তৃতা চালিয়ে যান তিনি।
×