ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে পশু জবাইয়ের জন্য ৪৯৩ স্থান নির্ধারণ

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৮ আগস্ট ২০১৫

রাজধানীতে পশু জবাইয়ের জন্য ৪৯৩ স্থান নির্ধারণ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আসন্ন কোরবানির ঈদে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ৪৯৩টি স্থান নির্ধারণ করে সে সব স্থানে পশু জবাই করতে রাজধানীবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল মালেক বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কোরবানির জন্য প্রাথমিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৮৫টি এবং উত্তরে ২০৮টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে এ সব স্থানে কোরবানি করতে কাউকে বাধ্য বা জোর করা হবে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনেও ২০টি স্থান পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান সচিব। নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির বিষয়ে ঈদের তিন দিন আগে থেকে প্রচার চালানো হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাউন্সিলররাও কাজ করবেন। এছাড়া জুমার নামাজের খুতবার পর মুসল্লিদের যেন বিষয়টি জানানো হয়, সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে চিঠি দেয়া হবে। কোরবানির জন্য সরকারের নির্ধারিত স্থানে ইমাম, কসাই এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা থাকবেন জানিয়ে রাজধানীবাসীকে ‘পরিচ্ছন্নভাবে’ কোরবানি করার অনুরোধ জানান মালেক। এমডিজি পরবর্তী কর্মসূচী প্রণয়নে অংশীদারিত্বকে প্রাধান্য দেয়া হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার ॥ মা ও শিশুমৃত্যু নির্মূলে এমডিজি পরবর্তী সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আগামী ২০১৬-২০২১ মেয়াদী প্রকল্প কার্যক্রমের পরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু করেছে। এতে এমডিজি পরবর্তী সময়ের কর্মসূচী প্রণয়নে উন্নয়ন সহযোগী ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বকে প্রাধান্য দেয়া হবে। অর্থনীতির দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ একটি উন্নত স্বাস্থ্যমান অর্জনের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার একটি স্বাস্থ্যবান, সুখী এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৃহস্পতিবার ভারতের নয়াদিল্লীতে ‘প্রতিরোধযোগ্য শিশু ও মাতৃমৃত্যু নির্মূলে বৈশ্বিক আহ্বান-২০১৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লীর হোটেল তাজ-এ দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সদিচ্ছা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই বাংলাদেশ এশিয়ার অধিকাংশ দেশকে পেছনে ফেলে শিশুমৃত্যু হার-এর সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছে। মাতৃমৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যমাত্রাও অর্জনের পথে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পোলিওমুক্ত দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, একথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচীর সাফল্য আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত।
×