ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আত্মবিশ্বাসী স্মিথ নতুন অধ্যায় শুরু

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৮ আগস্ট ২০১৫

আত্মবিশ্বাসী স্মিথ নতুন অধ্যায় শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোন ওয়ানডে ম্যাচে নামল অস্ট্রেলিয়া দল। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে অসিদের নেতৃত্বে এসেছে পরিবর্তন। কারণ মাইকেল ক্লার্ক অবসর নিয়ে ফেলেছেন। এবার তরুণ স্টিভেন স্মিথের কাঁধে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব ভার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। তবে নতুনদের নিয়ে ভাল কিছু করতে আত্মবিশ্বাসী ২৬ বছর বয়সী এ তরুণ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রেও বেশ উত্তেজনা বোধ করছেন নিজের মধ্যে। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে সহকারী হিসেবে পেয়েছেন সে জন্য। বিশ্বকাপে খেলা দলটির মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসায় কিছুটা নতুন চেহারাও পেয়েছে দল। যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত আছেন বলেও দাবি করেছেন স্মিথ। গত মার্চে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। তারপরই ওয়ানডে থেকে ক্লার্ক অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে। এবার ইংল্যান্ড সফরে এ্যাশেজ সিরিজের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিয়েছেন অভিজ্ঞ ক্লার্ক। মর্যাদার এ্যাশেজ এবার অসিরা খুইয়েছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার কারণে। এ্যাশেজের পরই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ওয়ার্নারকে সহকারী করে স্মিথকে ওয়ানডে ও টেস্টের অধিনায়ক করেছে। গত ডিসেম্বরেই ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে কেমন করতে পারেন সে পরীক্ষা দিয়েছেন স্মিথ সফরকারী ভারতের বিপক্ষে। সে সময় নিয়মিত অধিনায়ক ক্লার্ক ছিলেন ইনজুরির কারণে অস্ত্রোপচার করানোয় মাঠের বাইরে। তিন টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন। এবার পূর্ণ মেয়াদে দলনেতা হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছে স্মিথের ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে। আর সে জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছিলেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই উত্তেজিত। অবশ্যই আমি কিছু সময় পেয়েছি নতুন কিছু জানার জন্য। ওয়ানডে স্কোয়াডের নেতৃত্ব নিয়ে আমি নতুন কিছু শুরুর অপেক্ষায় ছিলাম। সে জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং যা কিছু এগিয়ে আসছে সেটার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।’ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার ওয়ানডে খেলতে নামার আগে আত্মবিশ্বাস ঝরেছে স্মিথের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ যে সময় আমরা একসঙ্গে ছিলাম বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। সুতরাং আমার মনে হয় না আমাদের পুরোপুরি পরিবর্তন এসেছে। এখন আমরা বিশ্বের এক নম্বর দল। আমি মনে করি এখন আমাদের সেই দরটা আমাদের উঁচু করতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে নিজেদের প্রতিনিয়ত ভাল করার।’ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অনেকেই আছেন বর্তমান দলে। এর মধ্যে স্মিথ, ওয়ার্নার ছাড়াও আছেন শেন ওয়াটসন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল স্টার্ক। কিন্তু একেবারেই নতুন মুখ আছেন জো বার্নস ও মারকাস স্টোইনিসসহ কয়েকজন। তাই নতুন যুগের সূচনা হিসেবেই দেখছেন সবাই। এ বিষয়ে স্মিথ বলেন, ‘আমারও মনে হয় এটা নতুন এক যুগের শুরু। কিন্তু সবাই খুব উত্তেজনায় আছে এবং আমি নিজেও দলের সবাইকে ভাল করতে দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। নিজেদের উজ্জীবিত মনোভাবটাকে উঁচু করে ধরুন।’ স্মিথ মনে করেন দলে নতুন কিছু ক্রিকেটার আসার কারণে এ্যাশেজ ব্যর্থতার যন্ত্রণাটাকে ভুলিয়ে দেবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য কঠিন এক সফর ছিল। এ্যাশেজ হারাটা আমাদের জন্য অবশ্যই বেশ হতাশার। কিন্তু এখন আমাদের নতুন একটি গ্রুপ আছে যাদের নিয়ে আশা করছি আমরা আরও শক্তি ও উদ্দীপনা পাব। প্রত্যাশা করছি আবারও পুরনো ছন্দে ফিরতে পারবে দল। জয় দিয়েই আমি আমার অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’
×