ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতের পাইকারি বাজারে দাম কমলেও কমেনি দেশের খুচরা বাজারে

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২৮ আগস্ট ২০১৫

ভারতের পাইকারি বাজারে দাম কমলেও কমেনি দেশের খুচরা বাজারে

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দামের উর্ধগতি ঠেকাতে এবং বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। গত ৫ দিনে এ বন্দর দিয়ে প্রায় ১৭শ’ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে দেশে। আর এ কারণে গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ১০-১৫ টাকা। আগে এই পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। এদিকে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কমলেও দাম খুব একটা কমেনি খুচরা বাজারে। ফলে বৃহস্পতিবারও দিনাজপুরের বাংলাহিলি বাজারে এই পেঁয়াজ ৫৮-৬০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের এই দামের কারসাজির মারপ্যাঁচে পড়েছেন বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। ভারতের হিলি কাস্টমস এক্সপোর্টার এ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অশোক কুমার ম-ল জানান, সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় পেঁয়াজ উৎপাদন। ফলে সেখানে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এক মাস আগে ২৫-৩০ রুপীর প্রতিকেজি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ রুপীতে। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের রফতানি নিরুৎসাহিত করতে রফতানি মূল্য প্রতি টন ৪৩০ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ৭০৫ ডলার করে ভারত সরকার, যা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর করে। বন্দরের কাস্টমস কার্যালয়, পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে উৎপাদনের মোট চাহিদার বেশির ভাগ পেঁয়াজই আমদানি হয় ভারত থেকে। ফলে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের মাধ্যমে বাজার স্বাভাবিক রাখা হয়। এ কারণে ভারত থেকে বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করছেন এ বন্দরের ব্যবসায়ীরা। বন্দরের কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাইফুর রহমান জানান, গত ২২ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে প্রায় ১৭শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা হয়েছে। প্রতিদিনই এ বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে প্রায় ৪শ’ মেট্রিক টন করে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানিতে কোন শুল্ক কর নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা। হিলি স্থল বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন ও আজিজুল হক রেন্টু বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় সেখানে কেজিতে কমেছে ১০ টাকার উপরে। এর প্রভাব দেশের বাজারেও পড়তে শুরু করেছে। গত ২ দিন আগেও যে পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা কমে ৪৮-৫০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমরা পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও দাম কমবে বলে আশা এই ব্যবসায়ীর। বাংলাহিলি বাজারের ব্যবসায়ী শহীদ উদ্দীন ও রেজাউল করিম জানান, বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেশি। সে তুলনায় ক্রেতা কম। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন ৫৩-৫৪ টাকায় পাইকারি দামে কিনে খুচরা ৫৮-৬০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। আগে এই পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায় খুচরা বিক্রি করা হয়েছে।
×