ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশ ত্যাগের হুমকি

এবার ঠাকুরের লালসার শিকার স্কুলছাত্রী

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২৮ আগস্ট ২০১৫

এবার ঠাকুরের লালসার শিকার স্কুলছাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৭ আগস্ট ॥ সদর উপজেলায় বড়বিঘাই এলাকায় অর্জুন মাঝি নামে এক ঠাকুরের বিরুদ্ধে বড়বিঘাই জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় স্থানীয় একটি চক্র ওই ঠাকুরকে ও তার সহযোগীদের বাঁচাতে প্রথমে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে বিচার দাবি করায় শিশুটির মাকে মারধরও করে। তবে পুলিশী তৎপরতায় যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি আর চাপা রাখা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় সদর থানায় নির্যাতিত শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঠাকুরের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি এবং আপোসের নামে ওই শিক্ষার্থীর মাকে মারধরের মামলা করায় পরিবারটিকে দেশ ত্যাগের হুমকি দিচ্ছে ওই ঠাকুর এবং তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা। মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর মা কবিতা রানী (ছদ্মনাম) জানান, ১৯ আগস্ট দুপুরে তাঁর পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে ফুসলিয়ে দুলি রানী নামের পাশের বাড়ির মাসি তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়ে চিৎকার শুরু করলে কবিতা রানী ও তার ছেলে দৌড়ে যান দুলির ঘরে। ঘরের মধ্যে কান্নারত বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর শিশু মেয়েকে অর্জুন ঠাকুরের হাত থেকে উদ্ধার করেন মা ছেলে। ঘটনার একদিন পর স্থানীয় খোকন মেম্বার, আনোয়ার সরদার এবং আব্দুস সালাম মাতুব্বর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাসহ সালিশ করে দেয়ার কথা বলেন। ২১ আগস্ট রাতে ওই পাঁচজন সালিশ বৈঠকে বসে কবিতা রানীকে পিটিয়ে বিবস্ত্র করে। এসব ঘটনা উল্লেখ করে ২৩ আগস্ট সদর থানায় মামলা করা হলে আসামিরা মামলা প্রত্যাহার না করা হলে বাদী পরিবারকে দেশ থেকে তাড়িয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সর্বক্ষণিক কবিতা রানী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, বড়বিঘাই এলাকার অর্জুন মঝি একটি মন্দিরের ঠাকুর হিসেবে ধর্মীয় লেবাসের মাধ্যমে ওই এলাকার বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় বিষয়ে অপব্যাখ্যা দিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের ইজ্জত লুটে নিয়েছে অর্জুন। এরই ধারবাহিকতায় সর্বশেষ শিকার হলো ৫ম শেণীর স্কুলছাত্রী। নওগাঁয় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৭ আগস্ট ॥ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কেশাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামে চোর সন্দেহে গ্রামবাসীর মারপিটে শাকিল হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শাকিল পাশের খাদাইল গ্রামের মৃত মোজাহার হোসেনের ছেলে। সে এলাকায় ভ্যান-রিক্সা চালানোর পাশাপাশি দিন মজুরের কাজ করতো। স্থানীয়রা জানান, ভোরে কাজের উদ্দেশে শাকিল ভ্যান নিয়ে কেশাইল গ্রামে যায়। সে ওই গ্রামের ফুলবরের বাড়ির আঙ্গিনায় গেলে চোর সন্দেহে ফুলবরের পরিবারের লোকজন চিৎকার দেয়। তাদের চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে শাকিলকে মারপিট করে আহত অবস্থায় আটক করে রাখে। গণপিটুনিতে আহত শাকিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। চার্জশীটে নারাজির শুনানি ফের রবিবার শিশু রবিউল হত্যা নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা), ২৭ আগস্ট ॥ বৃহস্পতিবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের আদালতে শিশু রবিউল হত্যা মামলার পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর বাবা দুলাল মৃধা নারাজি আবেদনের শুনানি ফের রবিবার দিন ধার্য্য করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার ছিল পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের (চার্জশীট) ওপর নারাজির শুনানির দিন। দুপুর ২টায় আদালতে মামলার প্রধান আসামি মিরাজের উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হরিহর চন্দ্র দাস আদালতে বলেন এখনও আমরা পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদনের কপি (চার্জশীট) হাতে পাইনি। তিনি আগামী রবিবার শুনানির দিন ধার্য করার জন্য আদালতে আর্জি করেন। জ্যেষ্ঠ বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস আর্জি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ আগস্ট (রবিবার) ফের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোট আমখোলা গ্রামের দুলাল মৃধার ছেলে রবিউল (১১) গত ৩ আগস্ট রাতে সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ ফরাজীর মাছের ঘেরে নৃশংসভাবে খুন হয়। ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশ ওই ঘেরের মধ্যে লখনার খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
×