ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমবাগানে আদা হলুদের চাষ

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৩০ আগস্ট ২০১৫

আমবাগানে আদা হলুদের চাষ

ডি.এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাগান। ওপর থেকে তাকে সামিয়ানা সাদৃশ্য মনে হবে, যা অপরূপ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আচ্ছন্ন মনে হবে। যার সারসংক্ষেপ করলে বলা চলে বৃক্ষ সামিয়ানা। যার নিচে অবস্থান করছে পুরো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। যার কাছে সূর্য দেবতা হার মেনেছে। তার অগ্নিসম সূর্য রশ্মি এ সামিয়ানা ভেদ করে মাটি স্পর্শ করতে পারে না। শত সহস্র যুগ ধরে চলে আসা বৃক্ষ সামিয়ানার নিচে ঢাকা মাটিকে ব্যবহারে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ আম বাগানের নিচে পড়ে থাকা সহস্র বছরের অনাবাদি জমিতে আবাদের সূচনা হতে যাচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের অভিমত আম বাগানের নিচের জমি খুবই উর্বর, যার কারণে নজরকাড়া সাফল্য ও উৎপাদন এনে দিতে পারে কৃষিতে। আর সেই কৃষি পণ্য হচ্ছে হলুদ ও আদা। সার্বক্ষণিক ছায়া ঘেরা আম বাগান আদা ও হলুদ চাষের জন্য দারুণ উপযোগী। অনাবাদি পড়ে থাকা আম বাগানগুলো সাথী ফসল হিসেবে আদা ও হলুদ চাষ হলে উপকৃত হবে বাগান মালিকরা। দেশজুড়ে এই দুটি মসলাজাতীয় কৃষি পণ্যের যে চাহিদা রয়েছে তার পুরোটাই পূরণে বড় ধরনের সাফল্য এনে দেবে। চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে মসলাজাতীয় দুটি পণ্য হয়তবা রফতানি পণ্যও হতে পারে। সমগ্র জেলায় আম বাগানের নিচে অনাবাদি পড়ে থাকা জমির পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে। সরকার ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে। পল্লী জীবিকা প্রকল্প (২য় পর্যায়) ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানের নিচের অনাবাদি জমির বিষয়টি উঠে এসেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গৃহীত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম বদরুল মজিদ সাম্প্রতিক কালে অংশগ্রহণ করে এই প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করলে সভা তা গ্রহণ করে। সভায় আলোচনায় উঠে আসে জেলাজুড়ে বিশাল বিশাল আম বাগানের কথা। এই ছায়ার নিচে একটি সাথী ফসল উৎপাদন সম্ভব। আর তা হচ্ছে আদা হলুদ। প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে আদা হলুদ আমদানি করতে হয়।
×