ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিপার্সের সাফল্যে গর্বিত কোচ বেনেমা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩০ আগস্ট ২০১৫

শিপার্সের সাফল্যে গর্বিত কোচ বেনেমা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চার দিন আগেই ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আহামরি কোন টাইমিং গড়তে পারেননি। শেলী এ্যান ফ্রেজার-প্রাইসের কাছে হেরে রৌপ্য জিততে পেরেছেন। হয়তো শেলীর সঙ্গে লড়াইয়ের স্নায়ুচাপ থাকাতেই নিজেকে পূর্ণরূপে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শেলীর অনুপস্থিতিতে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন ২০০ মিটারে। বিশ্ব এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপসের এবং ইউরোপিয়ান রেকর্ড গড়ে প্রথমবার বিশ্ব আসরে স্বর্ণপদকের স্বাদ নিয়েছেন হল্যান্ডের ড্যাফনে শিপার্স। তার ২১.৬৩ সেকেন্ড টাইমিং দেখে অন্য যে কারও চেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছেন তার কোচ বার্ট বেনেমা। শিপার্স এত দ্রুত শেষ করেছেন তা কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। গত বিশ্ব আসরে মস্কোয় একজন হেপ্টাথলেট হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন শিপার্স। এবার হেপ্টাথলন নয়, স্প্রিন্ট ইভেন্টে এসেছেন তিনি। ১০০ মিটারে ফেবারিট হিসেবেই দৌড়েছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রৌপ্য জয় করেন। তবে ২০০ মিটারে তাকে আর ছুঁতে পারেননি কেউ। ২৩ বছর বয়সী শিপার্স গড়েছেন চ্যাম্পিয়নশিপস রেকর্ড। ভেঙ্গে ফেলেছেন গত ৩৬ বছর স্থায়ী ইউরোপিয়ান রেকর্ডও। শিপার্সকে গত ৭ বছর ধরে অনুশীলন করাচ্ছেন বেনেমা। ১৬ বছর বয়সী কিশোরী শিপার্সের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এতদিনে যেন নিজের শিষ্যের সবচেয়ে সন্তোষজনক নৈপুণ্য দেখলেন। শুধু যে খুশি হয়েছেন সেটাই নয়, বরং বেনেমার প্রত্যাশার চাইতেও ভাল করেছেন শিপার্স। তাকে ইতিহাসের চতুর্থ সেরা টাইমিং গড়া দেখে আশ্চর্য হয়েছেন। এর আগে ১৯৭৯ সালে মারিটা কচ ২১.৭১ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে ইউরোপিয়ান রেকর্ড গড়েছিলেন। সেটাকে ভেঙ্গে দিয়েছেন শিপার্স। শুধু দুই সাবেক মার্কিন স্প্রিন্টার মারিয়ন জোন্স ও বিশ্বরেকর্ডধারী ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ-জয়নার তার চেয়ে দ্রুতবেগে দৌড়েছেন। দুই বছর আগে মস্কোয় হেপ্টাথলনে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন, এবার স্প্রিন্টে দুটি পদক জয় করলেন। বেনেমা নিজেই হেপ্টাথলন থেকে শিপার্সকে একজন স্প্রিন্টার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি তার টাইমিং দেখে বিস্মিত। কিন্তু সে জেতার কারণে আমি অবাক হইনি। কিন্তু অবাক হয়েছি সে যা করেছে তা দেখে। তবে এখনও কিছু উন্নতি করার জায়গা আছে বলে মনে করি।’ জুরিখে গত বছর অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান আসরে ডাবল স্প্রিন্ট স্বর্ণ জিতেছিলেন শিপার্স। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই বেনেমা অনুধাবন করতে থাকেন যে শিপার্স খুব দ্রুত দৌড়াতে সক্ষম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম বছর যখন তার দায়িত্ব নিলাম আমার মনে হয়েছে সে আরও দ্রুত দৌড়াতে পারবে। যখন ১৬ বছর বয়স ছিল তখন ৬০ মিটার ৭.৬০ সেকেন্ড সময় নিতো শেষ করতে। এটা ক্রমিক একটি পদ্ধতি এবং ওয়েট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এটা আরও সহজ হয়ে যায়।’ শিপার্স সবসময়ই নিজের উন্নতির চেষ্টা করেছেন। কখনও হারতে নারাজ ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে বেনেমা বলেন, ‘সাত বছর আগে শিপার্স একগুঁয়ে প্রকৃতির ছিল। এখনও তাই আছে। কিন্তু সে অবশ্যই উচ্চপর্যায়ের পারফর্মেন্স দেখাতে সক্ষম। সে সবসময় জিততে চাইত এবং এটাই তাকে একজন ভালমানের এ্যাথলেটে পরিণত করেছে। যে কেউ নিজের মেধা আছে তা জানে কিন্তু সেই মেধাটা কত বড় ধরনের তা আগেভাগে বোঝার উপায় নেই যতক্ষণ পর্যন্ত অনুশীলন করে তা উন্নত করার প্রচেষ্টা না চালানো হয়।’
×