ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

ঢাকার জীবন মানে ব্যস্ততা, সংগ্রাম আর ভোগান্তি। ঢাকার জীবন মানে...এভাবে লিখতে থাকলে পাতার পর পাতা ফুরিয়ে যাবে, তবু ফুরোবে না দিনযাপনের খতিয়ান। ঘরের বাইরেই রয়েছে জীবনের বৈচিত্র্য। সদর রাস্তার ওপর চোখকান খোলা রেখে মাত্র দশটা মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেই হলো। এই দশ মিনিটে যে ছবিগুলো দেখা যায়, যে সব শব্দ শোনা যায়, মনের ভেতর যে সব প্রশ্ন আর অনুভূতি এসে জড়ো হয়- তার আদ্যোপান্ত নিয়ে শতাধিক পৃষ্ঠার ডকুফিকশন রচিত হতে পারে। চাইলে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মিত হতে পারে। না, আমি এক দ-ও দাঁড়াইনি অফিসে যাওয়ার পথে। তবু বিস্মিত বিড়ম্বিত হয়েছি। প্রতিদিনই তো হই। শব্দদূষণে পীড়িত হতে থাকে শ্রুতি। সবার ভেতর এত অস্থিরতা কাজ করে, সবাই যেন রুদ্ধশ্বাসে ছুটছে। কোথাও এক মুহূর্তের জন্য আটকে থাকতে কেউ চায় না। ট্রাফিক সঙ্কেত বাতি সবুজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছোটা শুরু। তারস্বরে বাজতে থাকে বিচিত্র সব হর্ন। তীব্র তার আওয়াজ। সবাই ধৈর্যহীন হয়ে পড়ে। পৃথিবীর আর কোন শহরে কি এমন শব্দদূষণ চলে? চলে না। চলে না বলেই, এমন বায়ুদূষণ ঘটে না কিংবা জীবনযাত্রা এতখানি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে না। তাই আজ বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৯তম। উত্তরার একটি রাস্তায় পিচ ঢালা হবে, তার প্রস্তুতি চলছে। একসঙ্গে চার চারটে চুলো জ্বলছে দেখলাম। সেগুলো থেকে কালো ধোঁয়া আর উৎকট গন্ধ বেরুচ্ছে বিপুল পরিমাণে। স্কুলগামী কয়েকজন বালক-বালিকাকে দেখা গেল মুখে রুমাল চেপে কাশছে, কেউ বা দু’হাতে চোখ কচলাচ্ছে। ঠিক তারই পাশে দিব্যি রাজসিক ভঙ্গিতে হেঁটে চলেছে কাজে বেরুনো খেটে খাওয়া মানুষেরা। কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে দা-বঁটি ধার করানোর যন্ত্র। তালা-চাবির মুশকিল আসানকারীর হাতে ঝনঝন করে বাজছে চাবির সারি, এমনকি ছাতা মেরামতকারীরও দেখা পাওয়া গেল। প্রতিবন্ধী ভিখিরি নিজেই নিজের হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে ‘কাজে’ বেরিয়ে পড়েছে। রিক্সা, হোন্ডা আর মোটর গাড়িতে করে যারা চলেছে, তাদের একটা অংশ নিশ্চিতভাবেই কর্মস্থলে যাচ্ছে। সকাল জানিয়ে দিচ্ছে রাজধানীতে আরেকটা দিন শুরু হলো। আরেকটা নতুন দিন। কারও জন্য আনন্দের, কারও জন্য কষ্টের। দিবাবসানে হয়ত মিলবে তার হিসাব। বাসা-বদল আশা-বদল ইংরেজী মাসের শেষ শুক্রবার যদি মাসটির শেষ তারিখের কাছাকাছি হয়, তাহলে রাজধানীর সড়কে সড়কে একটি কমন দৃশ্য চোখে পড়ে। সেটি হলো গোটা সংসার ঠেলাগাড়ি বা ভ্যান গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে বাসা-বদল। অবশ্য যেসব সড়কে ঠেলাগাড়ি বা ভ্যানগাড়ির চলাচল নিষিদ্ধ সেগুলোর কথা আলাদা। যদিও সেসব রাস্তায়ও পিকআপ বা খোলা ট্রাকে করে মালসামান স্থানান্তরের দৃশ্য নজরে পড়ে। রাজধানীবাসী যেসব কারণে বাসা-বদল করে সেসবের মধ্যে কর্মস্থলের পরিবর্তন অন্যতম। যদিও শতকরা হিসাবের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে বাড়িঅলার সঙ্গে আর পেরে না ওঠার ব্যাপারটি। ফিবছর জানুয়ারিতে এক দফা বাসা ভাড়া বাড়ানো নিয়মই করে ফেলেছে বাড়িঅলারা। আবার বছরের অন্য সময়ও ভিন্ন অজুহাত তুলে আরেক দফা ভাড়া বাড়ায়। সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স তো আর ফি বছর বাড়ে না। এ্যাপার্টমেন্টগুলোর কমন একটি বড় খাত হচ্ছে সার্ভিস চার্জ। ভবনের দারোয়ান বা সিকিউরিটির বেতন এবং লিফট চালানোর খরচ ওঠানো হয় ওই সার্ভিস চার্জের সুবাদে। অবশ্য ওই দুই খরচ মিটিয়েও বাড়তি টাকা থাকে যা বাড়িঅলার এ্যাকাউন্টেই জমা হয়। সব সুবিধা বাড়িঅলার ঝুলিতে। অথচ ঢাকা শহরে বাড়িঅলার তুলনায় ভাড়াটিয়ার সংখ্যাই তো কয়েক গুণ বেশি। তবু এক অজ্ঞাত কারণে কোন সরকারের আমলেই ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় বিশেষ কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কিছুকাল আগে অবশ্য একটি কমিশন গঠনের নির্দেশনা পাওয়া গেছে উচ্চ আদালত মারফত। যাহোক, বাড়িঅলাদের দৌরাত্ম্যের কথা থাক। তাদের কাছে ভাড়াটিয়াদের অসহায়ত্বের কথাও থাক। শুধু বলা যাক বাসা বদলকারী মানুষের অনুভূতির কথা। কবি রুবী রহমানের ‘বাসা বদল’ কবিতায় কী সুন্দরভাবেই না তা উঠে এসেছে। ‘উদাসীন পথে গাড়ি চেপে চলেছে মানুষের আশা-বদল বাসা-বদল শিশিরের মতো টুপটাপ ফেলে যাচ্ছে ভাঙা তোরঙ্গ, নষ্ট শব্দ ফেলে যাচ্ছে এত কালের কথা বলার ঢং ফেলে যাচ্ছে অতি চেনা কাঠামো ও কলা।’ ধুপখোলা মাঠের দুর্দশা অস্তিত্ব সঙ্কটে ধুপখোলা মাঠÑ এমন একটি সংবাদ পড়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম। আমার স্মৃতি তো সামান্যই, অল্পকালের পুরনো। যারা ষাটের দশক বা তারও আগে থেকে ওই মাঠটাকে দেখেছেন তাদের তুলনায় অতি নগণ্য। মূল বিশাল ধুপখোলা মাঠই তারা দেখেছেন। আমি দেখেছি তিন টুকরো করা মূল মাঠের বড় অংশটি। পঁচাশি সালের দিকে মাঠটিকে তিন টুকরো করে এর দুটি ভাগ দেয়া হয় ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে। আমার স্মৃতি দেড়-দু দশক আগের। গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন সড়কে থাকতাম। তার লাগোয়াই ধুপখোলা মাঠ। ‘ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া’ দূরত্বে। মাঠটির চারপাশে বিপণিবিতানের সারি তখনও অতখানি দাপটের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েনি। পুরান ঢাকার ভিড়ভাট্টা থেকে মুক্তি দিতে আর মনের ভেতর এক টুকরো উদার আকাশ এনে দিতে এই মাঠটির সত্যি জুড়ি ছিল না। সেই মাঠটির আজ কী যে দুর্দশা হয়েছে। বুকজুড়ে তার খানাখন্দ, অপরিকল্পিত বাজার তাকে ঠেসে ধরেছে, রোজ সন্ধ্যায় বসে মাদকসেবীদের আসর। ঐতিহ্যবাহী এই মাঠটি এখন দেখলে মনে হবে, এটা যেন চাষের জমি। শুধু বালু আর বালু। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণের সরঞ্জাম রাখতে এই মাঠ ব্যবহার করা হয়েছিল। গত অক্টোবরে কাজ শেষ হলেও এখনও পড়ে আছে নির্মাণসামগ্রীর অংশবিশেষ। মাঠের অবস্থা তাই যাচ্ছেতাই। মাঠটির দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ভাঙ্গা পাথর, পরিত্যক্ত ব্লকের খ- ও সøাবের ধ্বংসাবশেষ। এগুলো এমনভাবে রাখা হয়েছে যে কিছুতেই সেখানে খেলাধুলা করা সম্ভব নয়। মাঠের এখানে-ওখানে বড় বড় গর্ত। জমে আছে ময়লা পানি। হাঁটতে গেলেও হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা। কেবল ধুপখোলা মাঠই নয়, হারিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর অনেক খেলার মাঠ। রাজধানীর কোন মাঠে রাখা হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী, কোনটায় আবার অবৈধ পার্কিং। ধুপখোলা মাঠের দুরবস্থা নগরবাসীকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে : খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত পরিসর, বিশুদ্ধ বাতাসে হেঁটে বেড়ানোর মুক্তছন্দ এবং শিশুকিশোরদের মানসিক-শারীরিক বিকাশে সুবিস্তৃত মাঠের কতই না প্রয়োজন। জ্ঞানহীন অসচেতন হলে চোখ বন্ধ রেখে পরবর্তী প্রজন্মের কল্যাণের কথা এতটুকু না ভেবে স্বার্থপরের মতো জীবন পার করে দেয়া যায়। তাতে সমাজ ও সভ্যতার বিপন্নতার অবসান ঘটে না। যত্রতত্র গর্তের বিপদ ঢাকার দিনরাত কলাম লেখার কারণে ঢাকার যে এলাকাতেই কাজে বা অকাজে যাই না কেন, চারদিক তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। মানুষের মুখের দিকে কারণে-অকারণে চেয়ে রই। পায়ের দিকে তাকিয়ে পথ চলা কারও কি পছন্দের? তবু বাধ্য হই বিখ্যাত সব রাস্তায় চলতে গিয়ে মুখ নিচু করে রাস্তার পাঁজরে তাকাতে। ভাগ্যিশ তাকাই, তা না হলে নির্ঘাত কোন না কোন অগভীর বা গভীর গর্তে পড়ে কোমর কিংবা পা ভাঙার স্বাদ নিয়ে শয্যাশায়ী থাকতে হতো। রাজধানীর বুকে হাঁটতে গিয়ে আপনি ছোট বা বড় গভীর কিংবা অগভীর গর্তের দেখা পাবেনই। গর্তের ভেতরে ময়লা পানি। লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেক গর্তেরই আশপাশের কংক্রিট ভেঙ্গে বিপজ্জনকভাবে কিছু লোহার রড বেরিয়ে আছে। এরই মধ্য দিয়ে খুব সাবধানে গর্তকে পাশ কাটিয়ে চলাচল করে থাকে যানবাহনগুলো। একটু ভারি বৃষ্টি হলেই গর্ত ডুবে পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। তখন গর্তের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। রিক্সা-সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার গিয়ে পড়ে গর্তের ভেতর। উল্টে পড়ে আহত হন যাত্রীরা। প্রায় দিনই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। অন্যের কথা আর কী বলব। কয়েক বছর আগে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির নিচে চোরা গর্তের শিকার হয়েছিলেন আমার নিকটাত্মীয়। তার বাঁ হাতের কনুই বিশ্রীভাবে ভেঙ্গে গিয়েছিল। সে কী ভোগান্তি। আমাদের এক বন্ধুর মেরুদ-ের চিরস্থায়ী সমস্যা হয়ে গেছে খোলা ম্যানহোলের ভেতর পড়ে। গলির রাস্তায় নয়, বড় ও প্রধান একটি রাস্তার খোলা ম্যানহোলে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। ঢাকাবাসীর সাবধানতা এবং কর্তৃপক্ষের সহৃদয়তাÑ দুটোই কাম্য বলে এ প্রসঙ্গের অবতারণা। ফলোআপ : ‘ক্লিনআপ ঢাকা’ গত সপ্তাহের লেখায় জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত একদল শিক্ষার্থীর ঢাকা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেয়ার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছিলাম তাদের সহযোগী হওয়ার বিশেষ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না কারও ভেতর। আজ সে নেতিবাচকতা বদলে যাওয়ার কথা বলতে হবে। স্বয়ং ডিসিসি উত্তরের মেয়র আনিসুল হক গাবতলীতে ওই কার্যক্রমে অংশ নেন। রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে অংশ নিচ্ছে তার চিত্র সামাজিক মাধ্যমে উঠে এসেছে। ফেসবুক থেকে তারই দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো। ধানম-ির সালমা লুনা লিখেছেন : গতকাল সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছিল কিছু ছবি। যাতে দেখা যাচ্ছে জাপানী শিক্ষার্থীরা ঢাকার রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে আর আমাদের দেশের পথচারীরা তা দেখে আমোদিত হয়ে ছবি তুলছে মোবাইল ফোনে। ছবিগুলো দেখে কেউ লজ্জিত, ক্ষুব্ধ কেউবা বিব্রত হয়েছেন। আজকের এই ছবিগুলো আমাদের দেশেরই একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বাচ্চাদের। অনেকেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোকে গালি দেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়েও নানারকম কটুবাক্য বর্ষণ করেন। তাই বলতেও ভয় করে যে, স্কুলগুলোতে কোন ভয়াবহ বিদ্যা শিক্ষা দেয়া হয় না। এরাও এদেশেরই ভবিষ্যত নাগরিক। কালকেই ছেলেমেয়ে স্কুল থেকে ফেরার সময় বলছিল তাদের স্কুলেরই এক প্রাক্তন ছাত্র তার জাপানী বন্ধুদের নিয়ে ঢাকা পরিষ্কার কর্মসূচীতে তাদের স্কুলের গ্রীন ওয়ার্ল্ড আর্থ ক্লাবকে যুক্ত করে আসাদ এভিনিউ পরিষ্কার করবে। শুনে খুব ভাল লেগেছিল। আজকে জাকারিয়া স্বপন ভাইয়ের ওয়ালে কিছু ছবি পেলাম তাদের কাজের। স্কুলের শিক্ষক রোনাল্ড ক্রুজের ওয়াল থেকে নেয়া স্কুলের ছবিটি। যারা কাল মন খারাপ করেছিলেন বাঙালীর কাজ শুধু ছবি তোলা ভেবে, আর লজ্জিতও হয়েছিলেন নিজেদের দৈন্য নিয়ে, তারা দেখুন ভাল লাগবে। আর হ্যাঁ, স্কুলটির শিক্ষার জন্য কিনা জানি না। আমার ছেলেমেয়েরা কখনোই চিপস চকোলেট আইসক্রিমের মোড়ক, সফট ড্রিঙ্কস বা জুসের খালি বোতল, এমনকি ব্যবহৃত টিস্যুটিও রাস্তায় ফেলে না। সুবিধাজনক ফেলার জায়গা না পেলে ব্যাগে কিংবা পকেটে করে বয়ে বাড়িতে এনে ফেলে। তারা আমাকেও শিখিয়েছে। বিলবোর্ড সমাচার মহানগরীর বিলবোর্ড নিয়ে আমরা আগেও এ কলামে লিখেছি। গত সপ্তাহে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কিছু বিলবোর্ড দেখা গেছে যেগুলোর বিষয়ই হচ্ছে খোদ বিলবোর্ড। বিলবোর্ড-ব্যবসায় যারা নিয়োজিত তারাই বিলবোর্ডের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাদের দাবির কথা। এর কারণ হলো- এবার জুন মাসে ঢাকায় কোন বিলবোর্ডের মেয়াদ নবায়ন করা হয়নি; অর্থাৎ দুই হাজার ৬২৭টি বিলবোর্ডের সবই ৩০ আগস্টের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রচলিত বিলবোর্ডগুলো সরিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে অত্যাধুনিক বিলবোর্ড স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। কেননা, আমরা যত্রতত্র যথেষ্ট পরিমাণে বিলবোর্ড দেখে আসছি। এগুলোর অধিকাংশই মানহীন, ক্ষেত্রবিশেষে চরমভাবে অশৈল্পিক। ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই। পথচারীর মাথার ওপর বিলবোর্ড ভেঙ্গে পড়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে। মহানগরের সৌন্দর্য বাড়ায় শিল্পিত বিলবোর্ড। শুধু ব্যবসায়িক কারণে রুচি ও সৌন্দর্যকে বিসর্জন দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড স্থাপন কখনোই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। নগরের সামষ্টিক নান্দনিকতার স্বার্থে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সাময়িক অসুবিধা উপেক্ষা করাই শ্রেয়। ৩০ আগস্ট ২০১৫ http://www.amadershomoy.com/converter/
×