ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তেশ্বরী নদীতে অবৈধ পাটা ॥ ফের জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মুক্তেশ্বরী নদীতে অবৈধ পাটা ॥ ফের জলাবদ্ধতা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নদী মুক্তেশ্বরীতে বিভিন্ন স্থানে পাটা দিয়ে মাছ শিকার করছে এক শ্রেণীর মানুষ। ফলে নদীর আশপাশে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ থেকে পানি সরছে না। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া অঞ্চল থেকে ৫/৬টি পাটা অপসারণ করলেও বাকি পাটাগুলো অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। জানা যায়, ভবদহের করালগ্রাস থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গৃহীত টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় মনোহরপুর, নেহালপুর, খানপুর, কুলটিয়া, হরিদাসকাটি ও ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ সকল ইউনিয়নের বহু গ্রামের জনবসতি ও ফসলের মাঠে পানি উঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ মাছের ঘের ডুবে কোটি কোটি টাকার চাষকৃত মাছ উন্মুক্ত জলাশয়ে বের হয়ে গেছে। চরম এই দুর্যোগ দেখা দিয়েছে শুধু মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে পানি বের না হওয়ায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই মুক্তেশ্বরী নদীতে বিভিন্ন স্থানে পাটা দিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু প্রভাবশালী মাছ শিকার করছে। পাটার কারণে পানি সরছে না। পাটাগুলো নদীর এপার থেকে ওপার পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে। ফলে পানিতে ভাসমান শ্যাওলা পর্যন্ত বের হতে পারছে না। পাটা এলাকায় পানি স্থির রয়েছে। পানিতে কোন স্র্রোত নেই। এক পাটা এলাকা থেকে অপর পাটা এলাকা পর্যন্ত পানি কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট নিচু রয়েছে। নদীর বর্তমান অবস্থা থেকে মনে হয় পাটাগুলো না সরালে নদীতে কোন স্র্রোতধারা তৈরি হবে না। জানা গেছে, মুক্তেশ্বরী নদীর কাটাখালি ব্রিজ থেকে দক্ষিণ ও উত্তর দিকে ১২টি পাটা দেয়া হয়েছে। কাটাখালির মফিজুর, নাউলীর খোকন হালদার ও প্রতাপকাটির আনন্দ বলেন, পাটার কারণে তারা শতভাগ জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন। করেরআইল গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান, ঢাকুরিয়া বাজারে স্থানীয় জনতার পক্ষ থেকে মাইকিং করে পাটা অপসারণের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু পাটা মালিকগণ তাদের পাটা উঠায়নি। এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নদীতে দেয়া সকল পাটা অবৈধ। পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এজন্য পাটা অপসারণের জন্য দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। আমতলীতে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় সহপাঠীর জেল নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৩১ আগস্ট ॥ আমতলী ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় সহপাঠী আনোয়ার হোসেনকে সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন। জানা গেছে, আমতলী ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আনোয়ার ও ফিরোজ একই ক্লাসের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। ওই ছাত্রী তাৎক্ষণিক এ ঘটনা শিক্ষকদের জানালে শিক্ষক ও ছাত্ররা আনোয়ার হোসেনকে ধরে ফেলে। অপর উত্ত্যক্তকারী ফিরোজ পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে।
×