ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্লগার অনন্ত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী রাহির

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ব্লগার অনন্ত হত্যার দায় স্বীকার করে  আদালতে  জবানবন্দী রাহির

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে এই মামলায় আটককৃত আসামি মান্নান রাহি। বুধবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক আনোয়ারুল করিমের কাছে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছে রাহি। গত ২৮ আগস্ট ভোরে সিআইডির একটি দল সিলেটের কানাইঘাটে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পূর্ব পালজুর গ্রামের হাফিজ মইনুদ্দিনের পুত্র মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহী ও তার ভাই মোহাইমিন নোমান ওরফে এএএম নোমানকে আটক করে। এরপর অনন্ত হত্যার মামলায় দুই ভাইকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে বুধবার আদালতে অনন্ত বিজয় হত্যার দায় স্বীকার করে মান্নান রাহি। যে ফেসবুকে বিভিন্ন ছদ্মনামে লিখত। তবে রাহির ভাই মোহাইমিন নোমান ওরফে এএএম নোমান দায় স্বীকার করেনি। তাকে ফের রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী। হত্যার দায় স্বীকার করা মান্নান রাহী (২৪) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র ছিল। তবে স্নাতক শেষ না করেই পড়াশোনা ছেড়ে দেয় সে। অনন্ত বিজয় দাশও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। এর আগে গত ৭ জুন আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় একটি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ইদ্রিস আলীকে। রিমান্ড শেষে এখন জেলহাজতে আছে ইদ্রিস। গত ১২ মে নগরীর সুবিদবাজারে নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে। হত্যাকা-ের পরপরই অনন্তর বড়ভাই রত্মেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ও মুক্তমনা ব্লগের ব্লগার ছিলেন। আরেকজন আটক ॥ ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক রাহির দেয়া তথ্য মতে বুধবার ভোরে সিলেটের কানাইঘাট থেকে আবুল খায়ের নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ। সিলেটের কোর্ট ইন্সপেক্টর নজিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, খায়েরকে বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
×