ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৩ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

১৩ দিনেও স্বাভাবিক  হয়নি শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি  ফেরি সার্ভিস

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস ১৩ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি। বুধবার ফেরি ক্যামেলিয়া, কুসুমকলি, ফরিদপুর ও কাকলী চলেছে। নাব্য সঙ্কটে ভোরে লৌহজং টার্নিংয়ে আটকা পড়ে ফেরি ক্যামেলিয়া। ঘন্টাখানেক পরে উদ্ধার করা হয়। তবে ফেরি কাকলী মঙ্গলবার একই পয়েন্টে আটকা পড়ে ফিরে আসে শিমুলিয়ায়। জোয়ারে বুধবার আবার গন্তব্যে পৌঁছে কাকলী। নাব্য সঙ্কট ও তীব্র স্রোতে এখনও ফেরি সার্ভিস মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এদিকে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের পলি অপসারণে সিনো হাইড্রো কর্পোরেশনের একটি ড্রেজার বুধবার পুরোদমে কাজ করছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেজার লৌহজং টার্নিংয়ে এই কাজ শুরু করেছে। বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) সুলতান আহমেদ খান জানান, সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন বিকেল থেকে ডুবোচরটি কাটতে শুরু করেছে। প্রায় ১২ শ’ ঘনমিটার বিস্তৃত চরটির ৫ থেকে ৬ লাখ ঘনমিটার মাটি কেটে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ছিল। প্রকৃতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে ও পদ্মার স্রোতে প্রায় ৬ শ’ বর্গমিটার এলাকা হতে ডুবোচরটি ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুধু ৫-৬ শ’ বর্গমিটার এলাকা হতে মাটি অপসারণ করবে সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। বিআইডব্লিউটিএর ৪টি ড্রেজার নাব্য সঙ্কট নিরসনে কাজ করলেও পদ্মার প্রচ- স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খনন কাজ চালাতে পারছিল না। তাই আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রোর চীন থেকে আনা দুটি শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার পদ্মা সেতুর দোগাছি সার্ভিস সেন্টার অফিসে এক যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয় গত শনিবার থেকে সিনো হাইড্রোর ড্রেজার দুটি মাটি অপসারণের কাজ শুরু করার। কিন্তু পদ্মায় তীব্র স্রোতসহ প্রতিকূল পরিবেশ থাকায় ড্রেজার দুটি স্থাপন না করতে পারায় ড্রেজিংয়ে কিছুটা বিলম্ব ঘটল। তিনি জানান, এ দুটি ড্রেজার প্রতিদিন কম করে হলে ৫০ হাজার ঘনমিটার মাটি কাটতে সক্ষম। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া অফিসের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, পদ্মার স্রোতধারা অপরিবর্তিত থাকায় ফেরি পারাপারে আগের মতোই অচলাবস্থা বিরাজ করছে। তবে ‘কুসুমকলি’ ও ‘ক্যামেলিয়ার’ সঙ্গে ‘ফরিদপুর’ ফেরিসহ ৪টি ফেরি চলাচল করেছে। কিন্তু এর ট্রিপ সংখ্যা ছিল কম। উল্লেখ্য, নাব্য সঙ্কটের কারণে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রো রো ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর পর ১৩ দিন ধরে নাব্য সঙ্কট ও তীব্র স্রোতে ছোট ও মাঝারি ফেরিগুলো স্রোতের প্রতিকূলে চলতে না পারায় শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
×