ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাগেরহাটে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে শহরের বাসাবাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে সোহাগ শেখ (২২) নামে এক যুবলীগ নেতা খুন হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে সোহাগকে বাগেরহাট বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে বাসাবাটি মন্দিরের সামনে উপর্যুপরি কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় সোহাগের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১০ টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত সোহাগ শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে এবং বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ শহরের বাসাবাটি এলাকায় বাড়িতে নেয়া হলে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। বাগেরহাট মডেল থানার পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সোহাগকে একটি অটোরিক্সায় করে তুলে নেয়। পরে শহরের বাসাবাটি মন্দির এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও দুই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুশফিকার শামস মেনন জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম ওই যুবকের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। এছাড়া তার বাম ঘাড়ে ও পায়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। নিহত সোহাগের বড় ভাই ফারুক শেখ জানান, তার ছোট ভাই সোহাগকে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ধরে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি। বাগেরহাট মডেল থানায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। কে বা কারা সোহাগকে খুন করেছে এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত কোন তথ্য জানাতে পারেনি। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে তাকে পরিকল্পিতভাবে দলীয় কতিপয় সন্ত্রাসী খুন করেছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ নিজামুল হক মোল্লা জানান, অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে দোষীদের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি তা প্রকাশ করতে চাননি।
×