ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যৌথ অনুশীলনের সমাপনীতে মার্কিন চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগপরবর্তী ঝুঁকি অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী বাংলাদেশ। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব সময় সবাইকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার আর্মি গলফ ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ডেভিড মিলি এসব তথ্য জানান। রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে ভূমিকম্প ও পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিভাগ আয়োজিত যৌথ অনুশীলনের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ডেভিড মিলি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মইনুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেপুটি কমান্ডিং মেজর জেনারেল গ্রেগরি বিল্টন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা সাহায্য করছে বাংলাদেশকে। অনুশীলন, কার্যকারিতা যাচাই, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও আমরা জোর দিচ্ছি। তিনি বলেন, এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি। দুর্যোগে যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয় বা কম হয় সে ব্যাপারে সরকার সজাগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ডেভিড মিলি বলেন, ঢাকায় কোন বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সেটিকে মোকাবেলার জন্য অতীতের চেয়ে বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। এই সফলতা ও অগ্রগতির জন্য আমরা গর্বিত। তবে এই অগ্রগতি ও সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে বড় দায়িত্বও চলে আসে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বড় কোন ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে নেপালে আমরা দেখেছি যে ভূমিকম্প খুব ভয়ঙ্কর। আর কোন পূর্বাভাস ছাড়াই এটি ঘটে যায়। সে কারণে যৌথ অনুশীলন বাংলাদেশকে ভবিষ্যতকালে ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত করছে। ভূমিকম্পের পরবর্তী ভয়াবহতা ও চাপ মোকাবেলায়ও এই অনুশীলন আমাদেরকে প্রস্তুত করবে। ভূমিকম্প মোকাবেলায় শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে না ভেবে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরেও চিন্তা করতে হবে। মার্কিন চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর নেতৃবৃন্দ আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য দুই দেশের মধ্যকার নিরাপত্তা সংলাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন নিরাপত্তা সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য। সেখানে তারা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগে সাড়া প্রদান বিষয়ে আলোচনা করবেন। ফলে আমাদের মধ্যকার সহায়তার ক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার পথ তৈরি করতে সাহায্য করবে। আগামী বছর ভূমিকম্প ও পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর আঞ্চলিক অনুষ্ঠান করা হবে বলে তিনি জানান। সেখানে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দেশের অংশীদাররা জটিল ও ক্রিয়াশীল অবদান রাখবে। এই কর্মসূচী ভবিষ্যতে সম্মিলিত দুর্যোগ মোকাবেলায় সাড়া দেয়ার প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে বলে জানান ডেভিড মিলি। গত রবিবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী যৌথ অনুশীলনে বাংলাদেশ সশ্রস্ত্র বাহিনী বিভাগের সদস্য ছাড়াও দেশী-বিদেশী সংস্থার ১৫০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার এই অনুশীলন শেষ হয়। ২০১০ সাল থেকে যৌথ এ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রবিবার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ থাকবে ॥ আমেরিকান শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আগামী রবিবার ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস, কন্স্যুলার সেকশন, আর্চার কে ব্লাড আমেরিকান সেন্টার লাইব্রেরী ও স্টুডেন্ট এ্যাডভাইজিং সেন্টারসহ আমেরিকান সেন্টার বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ছুটির দিন। তবে দূতাবাস বন্ধ থাকলেও মার্কিন নাগরিকদের জন্য জরুরী সেবা প্রদান করা হবে। এজন্য তাদের ৫৫৬৬-২০০০ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
×