ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আশা ছাড়ছেন না আজমল

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আশা ছাড়ছেন না আজমল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী মাসেই ৩৮ পূর্ণ হবে, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও বল হাতে আজমল যেন এখন নিজেরই ছায়া! এই অবস্থায় পাকিস্তানী তারকা স্পিনারের ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন অনেকে। তবে আশা ছাড়ছেন না আজমল। বিশেষ করে ওয়ানডে ও টি২০’র মতো স্বল্পদৈর্ঘে ফিরতে আশাবাদী তিনি। বলেন, ‘দীর্ঘ পরিসরে বা চারদিনের ক্রিকেটে হয়ত নিজেকে মেলে ধরতে পারছি না। ইংল্যান্ডের পিচগুলো সবুজ, নরম এবং অন্য জায়গাতেও বেশ বৃষ্টি হয়। তবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ম্যাচে আমি আগের চেয়ে ভাল করতে সক্ষম। ইয়াসির এবং জুলফিকার ভাল খেলছে আমি তাদের পথের কাটা হতে চাই না। তবে বিশ্বাস করি সংক্ষিপ্ত সংস্করণের দলে এখনও আমার জায়গা হবে।’ আজমলের অনুপস্থিতিতে দুরন্ত বোলিং করছেন লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ। তার নৈপুণ্যেই সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। মন্দ করছেন না জুলফিকার বাবরও। স্বল্পদৈর্ঘে উজ্জ্বল শোয়েব মালিক-শহীদ আফ্রিদি। অনেকের মতে, আজমলের ক্যারিয়ারই হয় তো শেষ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ে অবদান রেখেছিম। অন্ধকার সময়ে চলে যেতে পারি না। শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সঙ্গেই ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চাই। নির্বাচকদের সঙ্গে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলব।’ এ্যাকশন শুধরে ফিরে আসাটা কঠিন হলেও সেই কাজটিই করে দেখাতে চান, ‘অবশ্যই নতুন এ্যাকশনে স্থায়ী হতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। আশা করছি শীঘ্রই নির্বাচকদের দৃষ্টি কাড়তে পারব।’ যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) জাতীয় নির্বাচক কমিটি এবং দলীয় ব্যবস্থাপনার ঘনিষ্ঠ এক সূত্রমতে জানা গেছে, আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য আজমল তাদের পরিকল্পনায় নেই। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তাবিত সিরিজেও তাকে নিয়ে বিবেচনা করছেন না। প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ বলেন, ‘আজমলকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আগামী মাসে প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনুস অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসলে আজমলকে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে ডাকা হবে।’ পাকিস্তানের ঘরোয়া টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে চলতি সপ্তাহেই ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসছেন আজমল। আইসিসির বিচারে অবৈধ বোলিং এ্যাকশনের কারণে অভিযুক্ত হওয়ার পর গত বছর তাকে সব ধরনের ফর্মেট থেকে বহিষ্কার করা হয়। এপ্রিলে এ্যাকশন শুধরে সংক্ষিপ্ত সময়ে জন্য বাংলাদেশ সফরে দলে ফিরলেও ওয়ানডে কিংবা টি২০তে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ এই স্পিনার। অথচ ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন পাকিস্তানের হয়ে ১৭৮ টেস্ট, ১৮৪ ওয়ানডে এবং ৮৫ টি২০ উইকেটের মালিক।
×