ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশাল বিমানবন্দরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে উড়োজাহাজ

প্রকাশিত: ০৭:১২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বরিশাল বিমানবন্দরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে উড়োজাহাজ

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রস্থ রানওয়ের মধ্যেই চরম ঝুঁকি নিয়ে বরিশাল বিমানবন্দর থেকে চলাচল করছে সরকারী ও বেসরকারী কোম্পানির উড়োজাহাজ। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে উদ্ধার সরঞ্জমাদি থাকা দূরের কথা; নিরাপদ ফ্লাইট চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রানওয়ে পর্যন্ত নেই। তবুও এ বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ না করে ১৯০ কোটি টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। সূত্রমতে, রানওয়ের প্রস্থ কম হওয়ায় জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বর্ষার সঙ্গে সামান্য বাতাস থাকায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ৬১ জন যাত্রী নিয়ে এ বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে ঢাকায় ফেরত যায়। অথচ ওই সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ সকল বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর রহমতপুর এলাকায় ১শ’ ফুট প্রশস্ত ও ৬ হাজার ফুট দীর্ঘ বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়। ২০০১ সালের পর আরও কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে এ বিমান বন্দরের সম্প্রসারণে কাজ করা হয়। তবুও সব ধরনের বিমান চলাচলের জন্য উপযুক্ত রানওয়ে এবং দুঘর্টনা মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা অর্জিত হয়নি। বর্তমানে এ বিমানবন্দর থেকে জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান ও ইউএস বাংলার ফ্লাইট যাতায়াত করছে। ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ মডেলের ইউএস বাংলার ফ্লাইটগুলোই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে এ বিমান বন্দর ব্যবহার করছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, এ বিমানবন্দরে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী রানওয়ে নেই। অথচ আকাশ পথে এ রুটে চলাচলকারী ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ মডেলের বেসরকারী ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ঝুঁকি নিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণ ও উড্ডয়ন করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরনের উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য হতে হবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ মিটার। যার প্রস্থ হবে কমপক্ষে ৪৫ মিটার। কিন্তু বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ে দৈর্ঘ্য ঠিক থাকলেও প্রস্থ মাত্র ৩০ মিটার যা প্রয়োজনের তুলনায় ১৫ মিটার কম। পাশাপাশি দুর্ঘটনা মোকাবেলায় রেসকিউ এ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং (আরএফএফ)’র দুটি যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে একটি। অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও নেই। পানিতে ডুবে ৫ শিশুরমৃত্যু গাজীপুর ও রাজশাহী নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর ॥ কাপাসিয়া ও শ্রীপুরে বিলের পানিতে ডুবে তিন শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলার মহিষাদামনা এলাকার আছমত আলী আকন্দের ছেলে তামীম (সাড়ে তিন) ও একই এলাকার মামুন মিয়া আকন্দের মেয়ে সোহানা (৪) অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় ওই দুই শিশু পার্শ্ববর্তী বিলে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। মৃত শিশুরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি। এদিকে একইদিন দুপুরে খেলা করার সময় শ্রীপুর উপজেলার ভাওয়াল রাজাবাড়ী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিপন (৫) বাড়ির পাশের বিলে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, পবা উপজেলার কাটাখালি পৌর এলাকার হাজরাপুকুর মহল্লায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু হলো- হাজরাপুকুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শুভ (১০) ও রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে কলিমুক্তা (৬)। স্থানীয়রা জানান, শুভ ও কলিমুক্তা বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নামে। এরপর দীর্ঘ সময় বাড়ি ফিরে না আসলে দুই পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজ শুরু করেন। আশপাশে অনেক স্থানে খোঁজ করেও তাদের পাওয়া যায় না। পরে সন্দেহবশত আশপাশের লোকজন পুকুরে তল্লাশি শুরু করে। প্রায় একঘণ্টা পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে শুভ ও কলিমুক্তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
×