ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন পরিবারের পুনর্মিলন অক্টোবরে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন পরিবারের পুনর্মিলন অক্টোবরে

কোরীয় যুদ্ধে (১৯৫০-৫৩) বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনের বিষয়ে মঙ্গলবার একমত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়। খবর এএফপি ও বিবিসির। চলতি বছরের ২০ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার একটি পার্বত্য অবকাশ কেন্দ্রে বিরল এই পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানটি হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি দুই কোরিয়ার সীমান্তে একটি মাইন বিস্ফোরণে দক্ষিণের দুই সেনা আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমনের পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনীর বিষয়ে সমঝোতা হয়। কোরীয় যুদ্ধে দুটি দেশ বিভক্ত হয়ে গেলে কয়েক হাজার পরিবারও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদের কারও কারও পরস্পরের সঙ্গে ক্ষীণ যোগাযোগ থাকলেও অনেকের একেবারেই নেই। দেশ দুটির বৈরী সম্পর্কের কারণে একই পরিবারের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই দশকের পর দশক পার করে দিতে বাধ্য হন। দুদেশের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বেদনাহত এসব পরিবারের সদস্যরা ফের একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেল। ১৯৮৮ সাল থেকে দেশ দুটির মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোকে মাঝে মধ্যে একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর এই পুনর্মিলনী মাঝে মধ্যে দুদেশের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে বাতিল করা হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ এ ধরনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। টানা ২২ দিন গেম খেলে কিশোরের মৃত্যু ২২ দিন ধরে টানা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যু হলো রাশিয়ার এক কিশোরের। কিশোরটির নাম রুস্তম (১৭)। দেশটির ছোট শহর উস্যালির বাসিন্দা সে। দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে গত ৮ আগস্ট থেকে বাড়িতে বসেছিল রুস্তম। একঘেয়েমি ও সময় কাটাতে সে অনলাইন গেম খেলা শুরু করে। কিন্তু এই গেম যে তাকে জীবন দিয়ে চুকাতে হবে ভাবতেও পারেনি সে। এ বিষয়টি নিয়ে অবাক হয়েছেন তদন্তকারী থেকে বিশেষজ্ঞরাও। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। একমাত্র খাওয়া ও ঘুমানোর সময় ছাড়া বাকি সময় সে গেম খেলেই কাটিয়েছে। রুস্তমের বাবা-মা জানিয়েছেন, সর্বক্ষণই তার ঘর থেকে কি-বোর্ডের আওয়াজ আসত। কিন্তু ৩০ আগস্ট কোন আওয়াজ না পেয়েই ঘরে ঢুকে দেখেন রুস্তম অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তকারীরা বলছেন, সে না কি গত দেড় বছরে দু’হাজার ঘণ্টা অনলাইন গেমে সময় কাটিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সেকেন্ড ক্লাস সিন্ড্রোম এবং দীর্ঘক্ষণ শরীর নড়াচড়া না করার কারণে থ্রম্বোসিসেই মৃত্যু হতে পারে ওই কিশোরের। শিশুরক্ষা বিভাগের এক অধিকর্তা এ ব্যাপারে সমস্ত বাবা-মাকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, সন্তানদের কম্পিউটার গেম বা ইন্টারনেটে বন্দি করে রাখবেন না। এখনই এ বিষয়ে সতর্ক হোন।
×