ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশকে শক্তিশালী মানছেন স্মিথ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশকে শক্তিশালী মানছেন স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়া টেস্টের দ্বিতীয়সেরা দল। দশ দলের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নয় নম্বরে। ইতিহাস-ঐতিহ্য, শক্তি-সামর্থ্য সকল বিচারেই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে কুলীন অসিরা যোজন এগিয়ে। আসন্ন বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া যে নিশ্চিত ফেবারিট, সেটি বুঝতে ক্রিকেটবোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। ওয়ানডের পর টেস্ট- দুই ঘরনায় স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে স্টিভেন স্মিথের এটি প্রথম সফর। স্বভাবতই রোমাঞ্চিত এই তরুণ-তারকা। অবসরে মাইকেল ক্লার্ক, শেন ওয়াটসন, ক্রিস রজার্স ও রায়ান হ্যারিস, ইনজুরিতে ডেভিড ওয়ার্নার, কাল্টার নাইল, বিশ্রামে মিচেল জনসনসহ একাধিক তারকা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ সফরে কার্যত অভিজ্ঞতাশূন্য হয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। একাধিক পরীক্ষিত পারফর্মারের অনুপস্থিতিতে নবীনদের নিয়ে টাইগারদের মোকাবেলাটা তার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন স্মিথ। ‘সত্যি বলতে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমি দারুণভাবে মুখিয়ে আছি। আভিজাত্যের টেস্ট আঙ্গিনায় অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিতে আমার আর তর সইছে না। পাশাপাশি একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারের অবসর-ইনজুরিতে এটি আমার জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছে। বিশেষ করে ঘরের মাটিতে টাইগারার খুবই ভয়ঙ্কর দল। আশা করছি তরুণদের নিয়ে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারব।’ এ্যাশেজ ট্যুরে অস্ট্রেলিয়া এখন ইংল্যান্ডে। পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্মিথ। সেখানেই চলমান লড়াই ছাপিয়ে বাংলাদেশ সফর নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে প্রথম টেস্টের পরই চোটে পড়েন মাইকেল ক্লার্ক। তখনই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে টস করার সৌভাগ্য হয় ভবিষ্যতের অধিনায়ক স্মিথের। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত আর স্থায়ী দায়িত্বের রোমাঞ্চের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি তাই বাড়তি রোমাঞ্চও থাকছে স্মিথের। ৩-২এ এ্যাশেজ হারের ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন বড় তারকা ও অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তার সঙ্গী হন নির্ভরযোগ্য ওপেনার ক্রিস রজার্স। সিরিজ শুরুর আগেই ইনজুরি নিয়ে ‘বিদায়’ বলেন পেসার রায়ান হ্যারিস। সর্বশেষ সংযোজন শেন ওয়াটসন। ওয়ানডে সিরিজ চলকালে হুট করেই টেস্ট অবসরের ঘোষণা দেন আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় এ অলরাউন্ডার। ওয়ানডেতেই ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন মারকাটারি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, যিনি আবার স্মিথের সহ-অধিনায়কও। টানা ক্রিকেটের ধকল সামলাতে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে তুখোড় পেসার মিচেল জনসনকে। এই অবস্থায় একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে হবে স্মিথকে। থাকবেন জো বার্নস-ক্যামেরন বানক্রাফটদের। ফেরানো হতে পারে উসমান খাজাকে। যারা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফর করেন। শেষ মুহূর্তে ছিটকে যাওয়ার কষ্টটা ভুলতে পারছেন না ওয়ার্নার নিজেও। স্মিথের ডেপুটি যেমন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যে কোন ম্যাচ হাতছাড়া হওয়াই কাষ্টের। টেস্টে হতাশাটা আরও। আগেরবার অল্প চোটেই ব্যাট হাতে নিতে তিন সপ্তাহের মতো লেগে গিয়েছিল। এবার অবস্থাটা আরও খারাপ। মোটেই ভাল লাগছে না আমার। মাইকেল ক্লার্ক নেই, টেস্ট ছাড়ল শেন ওয়াটসন আর ক্রিস রজার্স। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সফরে দলের সঙ্গে থাকতে পারলেই বেশি খুশি হতাম। আমার সুস্থ হতে ৬-৮ সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। সব ঠিকঠাক এগোলে এরপর প্রাকটিসে ফিরব এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করব। আশা করছি নতুনদের নিয়ে স্মিথ সাফল্যের সঙ্গে সফরটা শেষ করতে পারবে।’ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পা রাখবে অস্ট্রেলিয়া। খেলবে দুই টেস্টের সিরিজ। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ৯ অক্টোবর থেকে।
×