ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইউএস ওপেন, কোয়ার্টার ফাইনালে আজারেঙ্কা, পেনেত্তা

শেষ আটে হ্যালেপ-কেভিতোভা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শেষ আটে হ্যালেপ-কেভিতোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বছরের শেষ গ্র্যান্ডসøাম আসর ইউএস ওপেন শেষ আটের পর্যায়ে এসে গেছে। মহিলাদের বিভাগে শেষ আট আগের দিনই নিশ্চিত করেছিলেন শীর্ষ বাছাই সেরেনা উইলিয়ামস, ভেনাস উইলিয়ামস, রবার্টা ভিঞ্চি ও ক্রিস্টিনা লাদেনোভিচ। বাকি চারজনও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে লাইনআপ নিশ্চিত করে ফেলেছেন। দ্বিতীয় বাছাই রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ তীব্র লড়াইয়ের পর ২৪তম বাছাই জার্মানির সাবিনে লিসিকিকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠেন। এছাড়া পঞ্চম বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভাও শেষ আট নিশ্চিত করেছেন। এ দুই তারকা এই প্রথম ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উঠতে সক্ষম হলেন। এছাড়া ইতালির ফ্লাভিয়া পেনেত্তা এবং ২০তম বাছাই বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা নিশ্চিত করেছেন শেষ আট। আপাতত সেরেনার অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে বিশ্বের দুই নম্বর হ্যালেপকেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ক্যালেন্ডার সøামের অবিস্মরণীয় এক অর্জনের পথে রয়েছেন এবার সেরেনা। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে বড় বোন ভেনাসের মুখোমুখি হবেন। হ্যালেপও উঠেছেন শেষ আটে। তবে চতুর্থ রাউন্ডে তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে জার্মান তারকা লিসিকি তুমুল লড়াই করেছেন তার সঙ্গে। প্রথম সেটের ফয়সালা হয়েছে টাইব্রেকে। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হ্যালেপ জয় তুলে নেন ৬-৭ (৬-৮), ৭-৫ ও ৬-২ সেটে। এর মধ্যে আবার তীব্র গরমের জন্য আলাদা ১০ মিনিটি বিরতি পেয়েছেন এ দুই তারকা। ১৯৯৭ সালে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠতে সক্ষম হয়েছিলেন রোমানিয়ার ইরিনা স্পিরলিয়া। এরপর আর কোন রোমানিয়ান তারকা শেষ আটেও উঠতে পারেননি। তাই ২৩ বছর বয়সী হ্যালেপও প্রথমবার ইউএস ওপেনের শেষ আটে পৌঁছলেন। প্রথম সেটে অবশ্য দারুণ সমস্যায় পড়েছিলেন হ্যালেপ। মেডিক্যাল ব্রেক নিতে হয়েছে তাকে। বাঁ পায়ের উরুতে ভারি স্ট্র্যাপে জড়িয়ে নিতে হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৭টি সার্ভিস ব্রেক এবং ১০৫টি আনফোর্সড এরোর্স হয়েছে যার মধ্যে ৭২টি করেছেন লিসিকি। আর সেজন্যই হারতে হয়েছে তাকে। জয়ের পর হ্যালেপ বলেন, ‘ইউএস ওপেনে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আমার জন্য অবিশ্বাস্য। এটা উন্মাদ করে দেয়ার মতো একটি ম্যাচ ছিল। আমি খুব ক্লান্ত, কিন্তু যদি আমি হারতাম সেক্ষেত্রে খুবই অসন্তুষ্ট হতাম।’ কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যালেপের প্রতিপক্ষ বেলারুশের আজারেঙ্কা। গত চার বছরে চতুর্থবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন এ বেলারুশিয়ান তরুণী। তিনি অবশ্য চতুর্থ রাউন্ডে সহজ জয়ই তুলে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারভারা লেপচেঙ্কোর বিপক্ষে। আজারেঙ্কা জয় পান ৬-৩, ৬-৪ সেটে। ইনজুরি থেকে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি তিনি। বাঁ পায়ের ব্যথায় ভুগছেন তিনি দীর্ঘদিন। দুই বাহুতেও ভারি ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলেছেন এদিন। কিন্তু খেলায় সেটার প্রভাব পড়তে দেননি। ২০১২ ও ২০১৩ সালে সেরেনার কাছে হেরে রানারআপ হয়েছিলেন আজারেঙ্কা। জয়ের পর তিনি বলেন, ‘এটা কিছুটা বিরক্তিকর যে আমার দুই বাহুতে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হয়েছে। কিন্তু এটা করা ছাড়া আমার উপায় ছিল না।’ দুইবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী আজারেঙ্কা হ্যালেপের বিপক্ষে আগের দুটি মোকাবেলাতেই জিতেছেন। অবশ্য সর্বশেষ ২০১২ সালে মুখোমুখি হয়েছিলেন দু’জন। এরপর হ্যালেপের উন্নতি অনেক হয়েছে। অপর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন কেভিতোভা ও ২৬ নম্বর বাছাই ইতালির পেনেত্তা। দুইবার উইম্বল্ডন জয়ী কেভিতোভা ব্রিটিশ কোয়ালিফায়ার জোহানা কোনটাকে ৭-৫, ৬-৩ সেটে পরাজিত করেন। ২০০১ সালে দাজা বেদানোভার পর প্রথম চেক তারকা হিসেবে ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন তিনি। কেভিতোভার শেষ আটের প্রতিপক্ষ পেনেত্তা ৬-৪, ৬-৪ সেটে হারিয়েছেন ২০১১ সালের ইউএস ওপেনজয়ী অস্ট্রেলিয়ার সামান্থা স্টোসারকে। এ নিয়ে স্টোসারের সঙ্গে সাতবারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই জয় তুলে নিলেন পেনেত্তা। গত সাত বছরে ষষ্ঠবারের মতো এ টুর্নামেন্টের শেষ আটে উঠলেন কেভিতোভা।
×