টেলিভিশন অনুষ্ঠানে প্রয়োজন বৈচিত্র্য
বর্তমান সরকারের সময় অনেক চ্যানেল চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এসব চ্যানেল চালু করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এসব চ্যানেলে প্রদর্শনের জন্য যে সব অনুষ্ঠানসূচী চালান হয় তার মান অধিকাংশ সময়েই নিম্নমানের। এসব চ্যানেলে সংবাদ প্রচারের পর সংবাদ এর বিষয়গুলো লিখিত আকারে দেখান হয়ে থাকে। কিন্তু সেগুলো বারবার দেখানোতে দর্শকদের মনে বিরক্ত উদ্রেক হয়। এ ছাড়া যেসব বিজ্ঞাপন দেখান হয়ে থাকে তার মানও নিচু পর্যায়ের। সেসব বিষয় দেখে অনেক সময় বিরক্ত বোধহয়। এসব নিম্নমানের বিজ্ঞাপন একবার দেখলে আর দ্বিতীয়বার দেখতে ইচ্ছে হয় না। ফলে দর্শকদের অনুষ্ঠানসূচীতে ধরে রাখা যায় না।
অনুষ্ঠান বৈচিত্র্যের কারণে দর্শক ভারতীয় বাংলা বা হিন্দী চ্যানেল দেখতে ভালবাসেন। এসব চ্যানেলে অনেক ভাল ভাল অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। দর্শকরা ওই সব অনুষ্ঠান দেখতে বেশি পছন্দ করেন।
টেলিভিশনের অধিকাংশ চ্যানেলেই অনুষ্ঠানসূচীতে বৈচিত্র্যের বড়ই অভাব থাকে। দর্শকদের চাহিদা বুঝতে হবে।
সেভাবে অনুষ্ঠানসূচী সাজাতে হবে। যাতে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করা যায়। তবেই তো দর্শকদের আকর্ষণ বাড়বে। নতুন নতুন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে মানুষ সেসব অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে। তবেই দর্শক সংখ্যা বাড়বে।
অশোক কুমার সাহা
কুমারখালী, কুষ্টিয়া
সরকারী আশ্রয়স্থল
ইদানীং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার শহরে ও বিভিন্ন জেলায় মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ, আর্থিক সঙ্কটের কারণে অথবা পরকীয়া কিংবা ভূমি চক্রান্ত ও বিভিন্ন কারণে নিরীহ নিষ্পাপ শিশু-স্ত্রী-স্বামীকে হত্যা করা হচ্ছে। এসব অমানবিক কার্যকলাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভূমিষ্ঠ হওয়া অসহায় গরিব-অনাথ শিশুদের জন্য সরকারী উদ্যোগে সরকারী জায়গায় এতিমখানার মতো আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হোক অথবা এতিমখানা ও হেফজখানায় ধর্মমতে অনাথ আশ্রমে লালন-পালন করে প্রাপ্ত বয়স্ক করে তোলার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এম এ সালাম
পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
কর্তৃপক্ষের গাফিলতি
ঢাকার তেজগাঁওয়ের পোস্টাল স্টাফ কোয়ার্টারের ভবন ও ফ্ল্যাটগুলোর সংস্কারের ব্যাপারে বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সংশ্লিষ্ট এ্যালোটিগন অসহায়। প্রয়োজনীয় মেরামতের অভাবে এখানকার ভবনগুলোর সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ তলার বাসিন্দারা মৃত্যুঝুঁকিতে বসবাস করছেন। কারণ ভবনগুলো ৫০ বছরেরও অধিক পুরনো হওয়ায় এবং সময়মতো যথাযথ মেরামতকার্য না করার দরুন চতুর্থ তলার কয়েকটি ফ্ল্যাটের সিলিংয়ের অবস্থা খুবই নাজুক। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার পর হঠাৎ রড-সুরকিসহ ছোট বড় পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এরূপ ফ্ল্যাটগুলোতে ইতোমধ্যে মোটা আকারের ভারি আস্তর সিলিং থেকে খসে পড়লে কেউ কেউ মারাত্মক আহত হয়েছেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করে তাদের আবেদন-নিবেদন জানিয়েও কখন সংস্কার করানো যাচ্ছে না। এক কথায় এসব থাকার জায়গাগুলো যেন একেকটি মৃত্যুফাঁদ। তাছাড়া কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কোয়ার্টারবান্ধব কোন পরিবেশও এখানে নেই।
জরাজীর্ণ ভবনগুলোর বেহালদশা সকলের চোখে পড়ে অথচ ডাক বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ নিয়মিতভাবে প্রচলিত হারে সরকারী কোষাগারে ভাড়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মিটিয়ে এসব ফ্ল্যাটে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ফ্ল্যাটের কাঠামোগত সমস্যার জন্য দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে বসবাস করা নিশ্চয়ই এ্যালোটিগনের ন্যায্য অধিকার খর্ব করার শামিল। তাদের নির্লিপ্তপূর্ণ ভূমিকা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমরা এর প্রতিকার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পোস্টাল স্টাফ কোয়ার্টার, তেজগাঁও
শীর্ষ সংবাদ: