ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার খসড়া হাতে হাতকড়া, পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি নেই

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার খসড়া হাতে হাতকড়া, পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি নেই

প্রযুক্তিগত দিক থেকেও ইন্টারনেট এখন আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখন মানুষের জীবনযাপন, তথ্য আদান-প্রদান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরকার পরিচালনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ও পারস্পরিক সম্পর্কের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ইন্টারনেট। লেখা, চিত্র, শব্দ ও ইন্টারএ্যাকটিভিটি সহযোগে ইন্টারনেটে তথ্য ও উপাত্তকে এমনভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব যা আর কোন মাধ্যমেই তেমনটা সম্ভব নয়। এটি একদিকে হতে পারে খবরের কাগজ, ব্যক্তিগত ডাইরি বা সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। অন্যদিকে ইন্টারএ্যাকটিভিটিসহ রেডিও, টিভি সম্প্রচারও এই প্রযুক্তিতে সম্ভব। এখনই বিভিন্ন ধরনের নিউজ পোর্টাল, নিউজ ব্লগ, আইপি টিভি, ইন্টারনেট রেডিও ইত্যাদি নানা ধরনের অনলাইন গণমাধ্যমের আবির্ভাব ঘটছে। দেশের বিদ্যমান কাগজ ও সম্প্রচারনির্ভর জাতীয় গণমাধ্যমগুলোও এখন ইন্টারনেটকে নির্ভর করছে এবং তাদের তথ্য-উপাত্ত ও সম্প্রচার ইন্টারনেটেও প্রকাশ করছে। ফলে ইতিমধ্যে বিরাজমান সকল গণমাধ্যমের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অনলাইন গণমাধ্যম। বস্তুত দেশে অনলাইন গণমাধ্যমের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এটি দিনে দিনে আরও বাড়তেই থাকবে। সেই প্রেক্ষিতটির প্রতি লক্ষ্য রেখে এখনই একথা বলা যায় যে, অনলাইনে প্রকাশিত গণমাধ্যমের বিষয়টিকে আর অবহেলা করা যায় না। বিদ্যমান অবস্থায় এসব গণমাধ্যম একদিকে কোন স্বীকৃতি বা সুযোগ-সুবিধা পায় না, অন্যদিকে গণমাধ্যমের জাতীয় মান রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না। এটি এখন যেমন খুশি তেমন অবস্থায় চলছে। কোন আইন কানুন, নিয়ম নীতি, নিবন্ধন ইত্যাদি এখানে বিদ্যমান নেই। এমন অবস্থা কোন মহলেরই কাম্য হতে পারে না। এজন্যেই জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যমের স্বীকৃতি, মান বজায় ও নীতিনৈতিকতা গড়ে তোলার জন্য একটি জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এরপর নীতিমালাটির বিভিন্ন অধ্যায় আলোচনা করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হিসেবে বলা হয়েছে; ১.২.১ অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনার ব্যবস্থা অক্ষুণœ রেখে দেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও গতিশীল করা; ১.২.২ অনলাইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতি ও মানদ- অনুসরণ, গণতন্ত্রের বিকাশ, বহুত্ববাদ ও বৈচিত্র্য সমুন্নত রাখা, সঠিকতা, নিরপেক্ষতা ও গণমুখিতা বজায় রাখা এবং তথ্যের অবাধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা; ১.২.৩ জনগণের মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে গণমাধ্যমসমূহের অধিকতর স্বাধীনতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণ; ১.২.৪ অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ এবং এর মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান; ১.২.৫ সরকারী ও বেসরকারী অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় উন্মুক্ত ও সুষম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা; ১.২.৬ সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অনলাইন গণমাধ্যমকে আরও গতিশীল ও দক্ষ করে গড়ে তোলা; ১.২.৭ অনলাইন গণমাধ্যমের সহায়তায় বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকা- বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, রফতানি বৃদ্ধি, সরকারী সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি কর্মসূচীতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা; ১.২.৮ সমাজের সকল ক্ষেত্রে সকল প্রকারের বৈষম্য নিরসন করে সমতার নীতি প্রতিষ্ঠায় অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা নিশ্চিত করা। প্রথম অধ্যায়েই অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার প্রধান দিকগুলো আলোচিত হয়েছে। এতে আছে : ১.৩.১ অনলাইন গণমাধ্যম সেবা প্রদানকারীদের লাইসেন্স প্রদান, পর্যবেক্ষণ (গড়হরঃড়ৎরহম) এবং মান বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা; ১.৩.২ লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে সকল অনলাইন গণমাধ্যমকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার আওতায় এনে এ সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা; ১.৩.৩ জনস্বার্থ, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যাতে অনলাইন গণমাধ্যম সেবাদানকারী কর্তৃক তথ্য ও উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার করা হয় তা নিশ্চিতকরণ; ১.৩.৪ বাংলাদেশের নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা নিশ্চিতকরণ; ১.৩.৫ অনলাইন গণমাধ্যমের সহায়তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ও সম্মান সমুন্নত রাখার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ; ১.৩.৬ সমাজে নৈতিক অবক্ষয় রোধ ও সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকরণ; ১.৩.৭ জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অনলাইন গণমাধ্যমের অবদান নিশ্চিতকরণ; ১.৩.৮ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা; ১.৩.৯ অশ্লীলতা রোধ এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী কোন বিজ্ঞাপন বা তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার না করার মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণ, দেশীয় সাহিত্য, কৃষ্টি/সংস্কৃতি উন্নয়নে সহায়তাকরণ। ১.৩.১০ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের বিস্তার রোধ ও প্রতিরোধে সহায়তা করা। জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার কৌশলসমূহ নিম্নরূপ: ১.৪.১ এ নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য সকল অংশীজন (ঝঃধশবযড়ষফবৎ) দের পরামর্শ গ্রহণ; ১.৪.২ এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন করা; ১.৪.৩ অনলাইন গণমাধ্যম কমিশনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কর্মকা- সমন্বয় করা। নীতিমালার সংজ্ঞা ও পরিধি অংশে রয়েছে : এই নীতিমালার আলোকে অনলাইন গণমাধ্যম বলতে বাংলা, ইংরেজী বা অন্য কোন ভাষায় জনগণের জন্য ইন্টারনেট মাধ্যমে ভিডিও, অডিও, টেক্সট বা মাল্টিমিডিয়ার অন্য কোন রূপে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচারকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে। এই ধরনের সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এই নীতিমালার পরিধিতে থাকবেন। সরকার ব্লগ বা অন্য ধরনের কাঠামোতে পরিচালিত অনলাইন প্রকাশনা, প্রচার বা সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানকে এই গণমাধ্যমের আওতায় আনতে পারবেন। অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার দ্বিতীয় অধ্যায়ে লাইসেন্স প্রসঙ্গটি আলোচিত হয়েছে। এতে আছে; ২.১.১ সকল অনলাইন গণমাধ্যমকে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে; সরকার লাইসেন্স বাবদ নামমাত্র ফিস ধার্য করবে। ২.১.২ সরকার একটি লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের সহায়তায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট নিয়মে অনলাইন গণমাধ্যমকে লাইসেন্স প্রদান করবে। বিদ্যমান অনলাইন গণমাধ্যমসমূহ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স পাবে। ২.১.৩ সরকার অংশীজনদের (ঝঃধশবযড়ষফবৎ) সঙ্গে আলোচনা করে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত স্বতন্ত্র আইন/নীতিমালা/বিধিমালা প্রণয়ন করবে। এতে লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি, লাইসেন্স প্রদানের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা, লাইসেন্স বাতিল ও অগ্রায়নের বিধান বর্ণিত থাকবে; ২.১.-এ সম্পর্কিত আইন/ নীতিমালা/ বিধিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার তথা তথ্য মন্ত্রণালয় এ সকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ২.১. লাইসেন্সপ্রাপ্ত সকল অনলাইন গণমাধ্যম সরকারের কাছে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে এবং শর্তপূরণ সাপেক্ষে সরকারী বিজ্ঞাপনসহ সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে। তৃতীয় অধ্যায়ে আছে অনলাইনে তথ্য-উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার সংক্রান্ত নীতিমালা। এতে রয়েছে; ৩.১ মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার ইতিহাস, ৩.১.১ তথ্যের অবাধগম্যতা, শিক্ষার প্রসার, উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে সকলকে উদ্বুদ্ধকরণ, নির্মল আনন্দদান ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা হবে অনলাইন গণমাধ্যমের তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও সম্প্রচারের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে; ৩.১.২ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শ ও নীতিমালা সমুন্নত রাখতে হবে; ৩.১.৩ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাসসহ সর্বজন স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা গৌরবান্বিত করতে হবে। ৩.২ সংবাদ ও তথ্যমূলক বিষয়াদি, ৩.২.১ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত কোন তথ্য-উপাত্ত কোন প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক অসত্য তথ্য বা উপাত্ত দেয়া যাবে না। সকল প্রকারের তথ-উপাত্তে উভয় পক্ষের যুক্তিসমূহ যথাযথভাবে উপস্থাপনের সুযোগ থাকতে হবে; ৩.২.২ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নি¤œবর্ণিত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানসমূহের তথ্য-উপাত্ত বাধ্যতামূলকভাবে প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করতে হবে। যথা- জরুরী আবহাওয়া বার্তা, স্বাস্থ্য বার্তা, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, সরকার কর্তৃক জারিকৃত প্রেস নোট, সরকার কর্তৃক সময় সময় অনুমোদিত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানসমূহ ইত্যাদি। ৩.৩ ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় অনুভূতি ৩.৩.১ দেশীয় সংস্কৃতির অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের আবহমানকালের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার প্রতিফলন, বাংলাদেশী সংস্কৃতির সঙ্গে জনসাধারণের নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন এবং বিভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ধারাকে দেশপ্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে দেশীয় সংস্কৃতির সুষ্ঠু প্রতিফলন করতে হবে; ৩.৩.২ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহের সংস্কৃতির অগ্রগতির জন্য তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন করতে হবে। ৩.৩.৩ সংস্কৃতির সমৃদ্ধির জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্প ও শিল্পীদের অনুসন্ধান ও আবিষ্কার করে তাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে এবং জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে; ৩.৩.৪ রাষ্ট্র ভাষাকে যোগ্য মর্যাদায় সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠান এবং এই উদ্দেশ্যে সঠিক বাংলা বানান ও উচ্চারণের একটি আদর্শ মান স্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। তথ্য পাঠ, প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনক্রমেই প্রমিত বানান বা উচ্চারণের মান শিথিল করা যাবে না; প্রয়োজনে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে, তবে কোনক্রমেই কোন অঞ্চলের প্রতি কৌতুক বা পরিহাস করার জন্য আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না; ৩.৩.৫ সকল ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে; ৩.৩.৬ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য উপাত্তে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় তথা সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমমর্যাদা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নারী সমাজ আমাদের জাতিকে প্রত্যয়দীপ্ত রাখার ব্যাপারে সত্যিকারের অর্থপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এর স্পষ্ট প্রতিফলন থাকতে হবে।
×