ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রিজার্ভ কমছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার

বিশ্ব অর্থনীতির

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বিশ্ব অর্থনীতির

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর রিজার্ভ কমছে। চীনের মুদ্রার অবমূল্যায়ন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনার কারণে এশিয়ার দেশগুলোতে সস্তায় মুদ্রা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ নিজর দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ খরচ করে ফেলছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জুলাই ও আগস্টে এশিয়ার দেশগুলোর রিজার্ভ উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। এই কমে যাওয়া শুরু হয়েছে চীনের হাত ধরে। দেশটির রিজার্ভ প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। মালয়েশিয়ার রিজার্ভ কমেছে ১৮ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও রিজার্ভ কমেছে। রিজার্ভ হ্রাসের মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের মুদ্রার মান চাঙ্গা করার খুব একটা সক্ষমতা নেই এই দেশগুলোর। কখন মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও রিজার্ভ হ্রাসের ধারা নাগাদ শেষ হবে, তাও অনিশ্চিত। ফলে স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। নতুন সঙ্কটে চীনা অর্থনীতি সঙ্কটের চক্রে আবদ্ধ যেন চীন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নিম্নগতির মধ্যে আবারও চীনের আমদানি-রফতানি আরেক দফা কমেছে আগস্ট মাসে। আগস্টে বার্ষিকভিত্তিতে রফতানি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১৯৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে রফতানি হ্রাসের এ হার ব্লুমবার্গের জরিপের দেয়া পূর্বাভাসের চেয়ে কম। আবার আগস্টে আমদানি ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ১৩৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি। সেই সঙ্গে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। এর ফলে দেশটির অর্থনীতি আরও গভীর সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিতে শ্লথগতির কারণে দেশটিতে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমছে। এর প্রভাব বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারবাজারেও পড়েছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য নিজেদের অর্থনৈতিক মডেলে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছে চীন। রফতানি ও বিনিয়োগ নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে প্রবৃদ্ধিকে ভোক্তা চাহিদানির্ভর করতে চাইছে দেশটি। তবে এজন্য বেশ কঠিন পথই পাড়ি দিতে হবে, ত্বরান্বিত করতে হবে সংস্কার কার্যক্রম। অর্থনীতি ডেস্ক
×