ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলার পরবর্তী জেরা ৩০ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলার পরবর্তী জেরা  ৩০ সেপ্টেম্বর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের কেলেঙ্কারি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়নি। রায়ের জন্য রবিবার দিন ধার্য করা থাকলেও আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় ঘোষণা করেননি। বরং এ মামলায় ফের জেরা তথা শুনানির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ শুনানি সাক্ষীদের জেরা অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে আসামিদের স্থায়ী জামিনও দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১৩ সেপ্টেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন। তখন পর্যন্ত এ মামলার কোন আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। গত ৮ সেপ্টেম্বর আসামিরা আদালতে এসে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন রবিবার তারা স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। একই সঙ্গে নতুন করে মামলাটির শুনানির আবেদন জানান। আদালত উভয় আবেদন মঞ্জুর করেন। আলোচিত এই মামলার আসামিরা হচ্ছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও র‌্যাংগস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক ও এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী ও অনু জায়গীদার। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসেন রশিদ, মোঃ আব্দুস সালাম খান ও সিরাজুল হক ও সৈয়দ মাহমুদ। বিএসইসির পক্ষে ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম ও মাসুদ রানা খান। এ সময় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল উপস্থিত ছিলেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। আলোচ্য সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেছেন। যার মধ্যে ছিল বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার। তবে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টি শেয়ারের। এছাড়া মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি শেয়ারের বিপরীতে ১ লাখ শেয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি শেয়ারের বিপরীতে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০টি শেয়ার, বাটা সু লিমিটেডের ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৫০টি শেয়ার বিদেশী ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট (ডিভিপি) দিয়েছে। আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন। আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান বলেন, ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে গত ৮ সেপ্টেম্বর আসামিরা আদালতে এসে জামিন নিয়েছিলেন। আসামিপক্ষের আইনহজীবী মামলাটির পুনরায় জেরা গ্রহণ ও আসামিদের স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ ধারা অনুযায়ী বিজ্ঞ বিচারক হুমায়ন কবির আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি নতুন করে জেরা গ্রহণের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। এই মামলার সাক্ষীরা হলেন বাদী বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান, সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জহুরুল হক, প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ রুহুল খালেক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন।
×