ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রুনিকে ছাড়াই ম্যানইউ হারাল লিভারপুলকে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রুনিকে ছাড়াই ম্যানইউ হারাল লিভারপুলকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তারকা ফুটবলার ওয়েন রুনিকে ছাড়াই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার রাতে ওল্ডট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ম্যানইউ ৩-১ গোলে পরাজিত করে লিভারপুলকে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে রেড ডেভিলসদের হয়ে গোল করেন ডালে ব্লিন্ড, এ্যান্ডার হেরেরা ও এ্যান্থনি মার্টিয়াল। দ্য রেডসদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ক্রিশ্চিয়ান বেনটেকে। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে ম্যানইউ ও লিভারপুলের চিত্রটা ছিল একই রকম। প্রথম দুই ম্যাচে জয়, তৃতীয় ম্যাচে ড্র আর শেষ ম্যাচে হারে দু’দলই। জয়ে ফিরতে মরিয়া ম্যানইউ ও লিভারপুল ওল্ডট্রাফোর্ডে প্রথমার্ধে পরিষ্কার কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। বিরতির পর রোমাঞ্চকর ফুটবল উপহার দেয় ইপিএলের ইতিহাসের সেরা সাফল্যের দল দু’টি। ৪৯ মিনিটে দারুণ কৌশলে লিভারপুলের প্রতিরোধ ভেঙ্গে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পোস্টে ফ্রি কিক না নিয়ে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থাকা ব্লিন্ডকে বল বাড়ান জুয়ান মাতা। দৌড়ে এসে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠাতে কোন ভুল হয়নি ব্লিন্ডের। পিছিয়ে পড়ে যেন জেগে ওঠে লিভারপুল। ইউনাইটেডের রক্ষণ ভাঙতে মরিয়া হয়ে ওঠে অতিথিরা। ৫৫ মিনিটে রবার্র্টো ফিরমিনোর ক্রস লাইন থেকে ফিরিয়ে ইউনাইটেডকে বাঁচান ক্রিস স্মলিং। ৬৫ মিনিটে ফিরমিনোর ব্যর্থতায় নষ্ট হয় লিভারপুলের আরেকটি প্রচেষ্ট। ছয় মিনিট পর জো গোমেস হেরেরাকে ডি বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ম্যানইউ। মিগনোলেটকে ফাঁকি দিয়ে স্পট কিকে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান ২-০ করেন হেরেরা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে লিভাপুলের বদলি খেলোয়াড় জর্দান ইবের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে দলকে বাঁচান স্বাগতিক গোলরক্ষক ডেভিঢ ডি গিয়া। পরের মিনিটে আর পারেননি তিনি। অসাধারণ এক গোলে ব্যবধান কমান বেনটেকে। বেনেটেকের গোলে ফেরার স্বপ্ন দেখছিল লিভারপুল। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভাঙতে বেশিক্ষণ লাগেনি। ৮৬ মিনিটে ইউনাইটেডকে আবার দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে নেন মার্টিয়াল। ক্রিস্টাল সিটির মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে ঘাম ছুটেছে ম্যানচেস্টার সিটির। শেষ মুহূর্তের গোলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের চলতি মৌসুমে টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে মানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। প্যালেসের মাঠ সেলহার্স্ট পার্কে সিটির জয়ে গোলটি করেন কেলাচি ইয়েনাচো। ৮৯ মিনিটে উইলফ্রেড বনির বদলি হিসেবে নাইজিরিয়ার এই ফরোয়ার্ডকে নামান কোচ। এক মিনিট পরই বক্সের মধ্য থেকে মাপা শটে লক্ষ্যভেদ করেন ১৮ বছর বয়সী এ তরুণ। টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লীগে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে ২০১৩-১৪ মৌসুমের লীগ শিরোপা জেতা সিটি। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে ক্রিস্টাল প্যালেস। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ম্যানইউ। সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় আর্সেনাল। থিও ওয়ালকট ও অলিভিয়ের জিরুডের গোলে নিজেদের মাঠে স্টোক সিটিকে হারিয়েছে আর্সেনাল। দুই অর্ধে একটি করে গোল পায় সর্বশেষ ২০০৩-০৪ সালে লীগ শিরোপা জয় করা গানার্সরা। প্রথমার্ধে ওয়ালকটের গোলে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে জিরুডের গোলে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে আর্সেনাল। ৩১ মিনিটে ওজিলের বাড়ানো বল পেয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন ওয়ালকট। দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল আক্রমণের ধার আরও বাড়ায়। কিন্তু গোল পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি পায় আর্সেনাল। সেট পিস থেকে কাজোরলার ক্রসে নিখুঁত হেডে গোলটি করেন দারুণ ফর্মে থাকা জিরুড।
×