ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে শীর্ষে বার্সিলোনা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

এ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে শীর্ষে বার্সিলোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুক্রবার দ্বিতীয় সন্তানের গর্বিত পিতা হয়েছেন জাদুকরী ফুটবলার লিওনেল মেসি। নবজাতককে রেখে পরদিনই অর্থাৎ শনিবার ময়দানী লড়াইয়ে নামেন আর্জেন্টাইন তারকা। স্প্যানিশ লা লীগার মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বার্সিলোনা স্বাগতিক এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মেসির শেষ দিকের গোলের কল্যাণে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফার্নান্ডো টোরেসের গোলে এগিয়ে যায় এ্যাটলেটিকো। এরপর ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারের গোলে সমতা ফেরায় বার্সা। ম্যাচ শেষের ১৩ মিনিট আগে মেসির গোলে মহামূল্যবান জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা। এই গোলটি করে প্রথম দুই ম্যাচে গোল না পাওয়ার হতাশা কাটান চারবারের ফিফা সেরা ফুটবলার। তবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, গোল করে নিজের দ্বিতীয় সন্তানকে বরণ করতে পেরেছেন মেসি। উল্লেখ্য, মেসির দ্বিতীয় ছেলের নাম রাখা হয়েছে মাটেও। এর আগে মেসির প্রথম সন্তান থিয়াগো মেসির জন্ম হয় ২০১২ সালের ২ নবেম্বর। একই দিন আরেক ম্যাচে রোনাল্ডোর পাঁচ গোলের সৌজন্যে এস্পানিওলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে রিয়াল মাদ্রিদ। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এসেছে বার্সিলোনা। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিসেন্টে ক্যালডেরনে শুরুর একাদশে বার্সার সেরা খেলোয়াড় মেসি না থাকলেও এ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে অতিথি বার্সিলোনা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার কাছ থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও স্বাগতিক গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি ইভান রাকিটিচ। ২৫ রাকিটিচের কর্নারে জ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর ফ্লিকে বল পান লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু তাঁর শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৩৪ মিনিটে সুযোগ হারান নেইমার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে টোরেসও এ্যাটলেটিকোকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন। বিরতির পর শুরুতেই এ্যাটলেটিকোকে এগিয়ে নেন মিলান থেকে ধারে খেলতে আসা টোরেস। ৫১ মিনিটে থিয়াগোর দারুণ পাস থেকে গোল করেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। সমতা ফেরাতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি বার্সিলোনা। ৫৫ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন নেইমার। ম্যাচের ৬০ মিনিটে রাকিটিচের পরিবর্তে মেসিকে মাঠে নামান বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। ফলে চ্যাম্পিয়নদের খেলার ধার আরও বাড়ে। মাঠে নামার সাত মিনিটের মধ্যে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেন মেসি। তাঁর কাছ থেকে বল পেয়ে নেইমার প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও গোললাইন থেকে শেষ মুহূর্তে বল ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার দিয়াগো গডিন। ৭৭ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি বার্সিলোনাকে। সুয়ারেজের পাস থেকে এ্যাটলেটিকোর জালে বল পাঠিয়ে দলকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন মেসি। গোলের পর তাঁর উদ্যাপনই বুঝিয়ে দিচ্ছিল দ্বিতীয় ছেলে মাটেওকে উৎসর্গ করেছেন এই গোল। এই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। স্পোর্টিং গিজনের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র দিয়ে লা লীগার চলতি আসর শুরু করে রিয়াল। পরের ম্যাচে নিজেদের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল বেটিসকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় গ্যালাক্টিকোরা। বেটিসের বিরুদ্ধেও গোল পাননি লা লীগার গত আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনাল্ডো। চলতি মৌসুমের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম গোল পেয়েছেন তিনি। মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যে তিনবার এস্পানিওলের জালে বল পাঠিয়ে তিনিই দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন। লুকা মডরিচের পাস থেকে সপ্তম মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে নেন রোনাল্ডো। ১৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন পর্তুগীজ তারকা। আলভারো গনসালভেস ডি বক্সে গ্যারেথ বেলকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। হ্যাটট্রিক পূরণ করতে বেশি সময় নেননি তিনি। তিন মিনিট পর বেলের দারুণ ক্রসে সঙ্গে লেগে থাকা তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে চোখ ধাঁধানো গোল করেন রোনাল্ডো। ২৯ মিনিটে বেলের কাছ থেকে পাস পেয়ে রোনাল্ডো বল বাড়ান বেঞ্জামাকে। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে পা ছুঁইয়ে গোল করেন ফরাসী তারকা। বিরতির পর ৬১ মিনিটে নিজের চতুর্থ ও পঞ্চম গোল করেন রোনাল্ডো। ৭২ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করে এস্পানিওল। কেইলর নাভাসের দৃঢ়তা আর স্বাগতিকদের আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় বেঁচে যায় রিয়াল। ৮১ মিনিটে নিজের পঞ্চম ও দলের ষষ্ঠ গোল করেন রোনাল্ডো।
×