ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারপতি অপসারণের আইন তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিসভায় উঠছে

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বিচারপতি অপসারণের আইন তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিসভায় উঠছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণের পদ্ধতি সংক্রান্ত আইনের খসড়া তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। রবিবার রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জনকণ্ঠকে এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২-এর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনর্¯’াপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পরিবর্তে সংসদের হাতে ফিরে আসে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীতেই বলা আছে বিচারপতিদের অপসারণের প্রক্রিয়াটা একটা আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে। ওই আইনটা এখন প্রস্তুত, তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিলটি পাস হয়। এর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ৪০ বছর পর আবার সংসদের হাতে ফিরে। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানেও তা বহাল ছিল। বিলে ‘অসদাচরণ ও অসামর্থ্যরে’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারপতিদের অপসারণের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে ষোড়শ সংশোধনীর আলোকে তদন্ত ও প্রমাণ বিষয়ক আলাদা একটি আইন থাকবে বলেও বিলে বলা হয়। বিলটি পাস হওয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ’৯৬ অনুচ্ছেদ পুনর্স্থাপিত হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে সুপ্রীমকোর্টের কোন বিচারপতিকে তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে অপসারণের বিধান ছিল। তবে ওই অনুচ্ছেদে বিচারপতিদের চাকরির বয়স বর্তমান বিধান অনুযায়ী ৬৭ বহাল থাকবে।
×