নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর ॥ প্রতারণার শিকার কেশবপুরের ১৮ হজযাত্রী এবার হজ পালন করতে পারলেন না। ভুয়া এজেন্সির খপ্পরে পড়ে তার প্রতারণার শিকার হয়ে হজ পালন করতে তো পারলেনই না সঙ্গে লাখ লাখ টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। হজব্রত পালনে প্রতারণার শিকার এ সকল হজযাত্রীর হাহাকারে কেশবপুরের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। জায়গাজমি বিক্রি করে হজে গমনের শেষ সময় যেতে না পারার খবরে তাদের মাথায় বজ্রপাতের মতো আঘাত হেনেছে। রাতের ঘুম হারাম হওয়ায় এসব হজযাত্রী টাকা ফিরে পেতে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম ও কেশবপুর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সামাদ ভুয়া হজ এজেন্সির পরিচয় দিয়ে ১৮ হজযাত্রীর প্রত্যেকের কাছ থেকে লাখ ৩৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি মাধ্যমে ১৮ জনকে ভুয়া আইডি কার্ড প্রদান করেছেন। গত বুধবার ১৮ জনের হজ ফ্লাইটের দিন জানানো হয়। সেভাবে সকলেই হজে যাবার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ফ্লাইটের আগের রাতে মাওলানা আব্দুস সামাদ জানান, এজেন্সির তাদের দেয়া টাকায় জমা না দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে এবং তাদের দেয়া কাগজপত্র ভুয়া। হজ গমনে ব্যর্থ হয়ে মাওলানা সামাদ পরিচালিত কওমি মাদ্রাসায় তার কাছে যান এবং ভিসা না পাওয়ায় কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা ফেরত চাইলে মাওলানা সামাদ তখন প্রত্যেককে সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখায় তার ০০২০১৮৯৫১ হিসাব নম্বরের ২০/১১/২০১৫ তারিখের চেক প্রদান করেছেন।
ভুক্তভোগী ভোগতি গ্রামের মাস্টার আব্দুল হামিদ জানান, কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামের মৃত নিজামউদ্দীনের ছেলে হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম ও কেশবপুর টাইটেল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সামাদ স্ত্রীসহ তার কাছ থেকে হজব্রত পালনের জন্য টাকা নেন। সবকিছু গুছিয়ে যাওয়ার আগে জানতে পারি তার টাকা জমা হয়নি। তিনি বলেন জমি বিক্রি করে টাকা যোগাড় করে হজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। প্রতারণার কারণে যেতে পারলাম না। কবে টাকা ফেরত পাব তাও জানি না।
রাজশাহী নগরীতে পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজাই রাখতে কোরবানির ঈদে রাজশাহী নগরীতে পশু জবাইয়ের জন্য পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে নির্ধারিত পয়েন্টে পশু কোরবানি দেয়া যাবে। এছাড়া কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করা হবে। এ লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে মাইকিংয়েরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন সোমবার জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে নগরভবনে সভা হয়েছে। ওই সভায় রাজশাহী নগরীতে ঈদের দিন কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান সুনির্দিষ্টিকরণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
ঈদে নগরীতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে ৩০টি ওয়ার্ডে ৫টি করে স্পট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্পটগুলোতে সিটি করপোরেশন প্যান্ডেল স্থাপন, ব্যানার সংযোজন, পানির ব্যবস্থা করবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: