ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়া আজ রাতে লন্ডন যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

খালেদা জিয়া আজ রাতে লন্ডন যাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যক্তিগত সফরে আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫৮৫ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এবার দেশের বাইরে ঈদ করবেন বিএনপিপ্রধান। এর আগে রাত আটটায় গুলশান ২নং সেক্টরের ৭৯নং রোডের ১ নম্বর বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বের হবেন তিনি। সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এদিকে লন্ডন যাত্রার প্রাক্কালে রবিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গ দলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ ঢাকায় অবস্থানরত সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন পর বড় ছেলের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত ও চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সফরটি তার একান্তই ব্যক্তিগত। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এবারের সফর ব্যক্তিগত হলেও ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করবেন খালেদা জিয়া। বিশেষ করে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী, পররাষ্ট্র দফতরের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। নজরুল ইসলাম খান বলেন, এত বছর পরে দলের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা হবে ছেলেসহ পরিবারের সঙ্গে। তার ছোট ছেলে মারা গেছেন। বড় ছেলে, তাঁর স্ত্রী ও নাতনি রয়েছেন লন্ডনে। আমরা নেত্রীকে অনুরোধ করেছি, যেন তিনি পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করে দেশে আসেন। বিএনপির একাধিক নেতা জানান, মালয়েশিয়া থেকে কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি, তাঁর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানও লন্ডনে যাবেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান ২১ আগস্ট মামলায় হুলিয়া নিয়ে গত সাত বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে তার বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। খালেদা জিয়া গত বছর ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গেলে তারেকও লন্ডন থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর আর মা-ছেলের দেখা হয়নি। এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় থাকা খালেদার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যান। প্রতিবছরের মতো এবারও রোজার সময় ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল খালেদার। কিন্তু ওই সফর তিনি শেষ মুহূর্তে বাতিল করেন দলের শীর্ষ নেতাদের কারাগারে থাকার কথা বলে। গত আগস্টে লন্ডন যাওয়ার তোড়জোড় করেও পরে যাননি বিএনপি চেয়ারপার্সন। তার না যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনারও সৃষ্টি হয়। পরে খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর পায়ের ব্যথা বেড়েছে। সেজন্য যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষর্থীদের বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকরামুল হাসান। একই সঙ্গে কম্পিউটারের ওপর ভ্যাট আরোপে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।
×