স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জেলার চকরিয়ায় শতাধিক গ্রামীণ সড়ক বর্তমানে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জুন ও জুলাই মাসের কয়েক দফা বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদফতরের আওতাধীন ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখনও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে এসব সড়ক বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তবে সরকারী দফতরের সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারে একটু বিলম্ব হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, জুন ও জুলাই মাসে ভারি বর্ষণ পরবর্তী পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রামীণ সড়ক ভেঙে একাকার হয়ে গেছে। বেশির ভাগ সড়কের মাটি পানির সঙ্গে তলিয়ে অসংখ্য খানা-খন্দকে ভরে গেছে। সড়কের অনেক স্থানে সৃষ্টি হওয়া গর্তসমূহ বৃষ্টির পানিতে নালা-নর্দমায় পরিণত হয়েছে। ওইসব সড়ক দিয়ে যানবাহনে তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলেও দায় হয়ে পড়ছে। জনসাধারণের পাশাপাশি সকাল-বিকেল দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা।
পূর্ববড় ভেওলার মোহাম্মদ আলমগীর মেম্বার বলেন, তার ওয়ার্ডের অলিরবাপের পাড়া এলাকার একটি গ্রামীণ সড়ক ভারি বর্ষণ ও বন্যায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কটি সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
কিন্তু বন্যার পর একমাস সময় অতিবাহিত হলেও এলজিইডির কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি। এমনকি সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কোন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদ চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আমিনউল্লাহ বলেন, ভারি বর্ষণ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব গ্রামীণ সড়কের তালিকা প্রস্তুত করে ইতোমধ্যে সংস্কারে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ চেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র পাঠানো হয়েছে।
বরিশালে ছয় সংখ্যালঘু পরিবার জিম্মি
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পাংশা গ্রামের সেভেন স্টার বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন ছয়টি সংখ্যালঘু পরিবারসহ এলাকার কয়েক শ’ নিরীহ জনগণ। ওই বাহিনীর ক্যাডাররা সংখ্যালঘুদের সহায় সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য দেশত্যাগের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওইসব পরিবারের সদস্যরা। সেভেন স্টার বাহিনীর হাতে জিম্মি দশার কারণে ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে পর্যন্ত সাহস পাচ্ছেন না। নীরবেই সয়ে যাচ্ছেন ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতন।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, কথিত আ’লীগ নেতা খলিলুর রহমান মৃধা এক সময়ের চিহ্নিত সর্বহারা সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সেভেন স্টার বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ওই বাহিনীর প্রধান খলিলুর রহমান এবং তার ক্যাডারদের হাতে জিম্মি রয়েছেন পাংশা, মাধবপাশা, গজালিয়াসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবার ও শত শত নিরীহ গ্রামবাসী। ওই বাহিনীর অন্যতম ক্যাডাররা হলো- লাভলু, আলমগীর, সোহেল, আনোয়ার ও মানিক।
মাধবপাশা গ্রামের কালাচাঁদ শীল অভিযোগ করেন, অতিসম্প্রতি তাদের ছয়টি পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সেভেন স্টার বাহিনীর প্রধান খলিলুর রহমান ও তার সহযোগীদের। তারই ধারাবাহিকতায় খলিল ও তার বাহিনীর ক্যাডাররা তাদের জমি দখল করতে গেলে তিনি (কালাচাঁদ শীল) সন্ত্রাসীদের বাধা । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ ছয়টি পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগের হুমকি দেয়া হয়। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় তারা আইনের আশ্রয় নিতেও সাহস পাচ্ছেন না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: