ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাট ও না’গঞ্জে দুই শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষিত

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাগেরহাট ও না’গঞ্জে দুই শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষিত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির আটদিন পেরিয়ে গেলেও কোন মামলা হয়নি। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সেনপাড়ায় ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হলেও গত ৮দিনে কোন মামলা হয়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহলের জোর তদ্বিরে ভিকটিম পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ, উপজেলার শাখারীকাঠি শহীদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পিংড়ুড়ীয়া গ্রামের লম্পট সরোয়ার সরদার (৪২) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মৎস ঘেরের পাহারা ঘরে নিয়ে শ্লীলতাহনি করে। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হলে লম্পট সরোয়ার জোর করে পার্শ্ববর্তী সুপারি বাগানে নিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে সুপারি বাগান থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সরোয়ার পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর ছাত্রীটি স্থানীয়দের ঘটনার বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্কুলছাত্রীর নানি স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যকে জানান এবং বিচার দাবি করেন। এরপর মীমাংসার নামে একটি প্রভাবশালী মহল চাপ প্রয়োগ করে। ঘটনাটি থানা পুলিশ টের পেয়ে কচুয়া থানার এক এসআই ঘটনাস্থলে গেলেও অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটিসহ তার পবিবার রয়েছে বিভিন্ন হুমকির মুখে। এ ব্যাপারে কচুয়া থানার অফিসার-ইন-চার্জ মোঃ সমশের আলী বলেন, ঘটনাটি শুনে সেখানে একজন এসআই পাঠানো হয়। কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ না পাওয়ার কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। সিদ্ধিরগঞ্জ ॥ এদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১২) জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিচারের আশ্বাস দিয়ে গড়িমসি করায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের আঃ সাত্তার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া চা বিক্রেতা মোঃ ইছব স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তার দিয়ে আসছিল। শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী তার চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় কিশোরীকে আবারও কু-প্রস্তাব দিলে তাতে রাজি না হওয়ায় ইছব তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর আর্তচিৎকারে তার বাবা-মা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে ধর্ষক ইছব পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুইদিন আটকে রেখে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা নোয়াখালী থেকে জানান, সেনবাগ উপজেলার অজুর্নতলা ইউনিয়নের ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটকে রেখে দুইদিন ধরে ধর্ষণ করেছে রাজু (২৫) নামের এক যুবক। রাজু একই ইউপির ইদিলপুর গ্রামের নুর হোসেন ওরফে পাকিস্তানী তবারকের ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে সেনবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক রাজু ও তার সহযোগী শাহাদাতসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সেনবাগ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন । নির্যাতনের শিকার ধর্ষিতা জানায়, রবিবার সে স্কুলে আসে। লেইজার টাইমে সে স্কুলের পাশ্ববর্তী একটি মার্কেটে জামা সেলাই করতে যায়। এ সময় রাজু তার সে জামার মাপ নেবে বলে দোকানে ঢুকিয়ে তার মুখ ও হাত-পা বেঁধে রেখে দোকান বন্ধ করে চলে যায়। পরে সন্ধ্যায় এসে সে তাকে ধর্ষণ করে, যা চলে দুই দিন ধরে। ছাত্রীর অভিযোগ, রাজুকে এই কাজে সহযোগিতা করে শাহাদাত ও অন্যরা। পুলিশ জানায়, পরে সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং মঙ্গলবার দুপুরে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
×