ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জামিন জালিয়াতি

অতিরিক্ত বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানের অপসারণ আদেশ আপীল বিভাগে বহাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

অতিরিক্ত বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানের অপসারণ আদেশ আপীল বিভাগে বহাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামিন জালিয়াতির অভিযোগে হাইকোর্টের সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানের অপসারণ আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার মামলায় ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশের নেতা মুফতি শহিদুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক এমপি হারুনর রশিদকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। অন্যদিকে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন টুকুর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এসব আদেশ প্রদান করেছেন। সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানের অপসারণ আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। আপীল আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২০০৩ সালের ১ অক্টোবর সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ আইনজীবীদের একটি সমাবেশে বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে একজন আসামিকে জামিন পাইয়ে দেয়ার জন্য টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন।পরবর্তীতে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বিষয়টি তদন্তের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমদ সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেন। ২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের জুডিশিয়াল কাউন্সিল তার যাবতীয় কার্যক্রমকে ‘প্রকাশযোগ্য নয়’ বলে ঘোষণা করেন। সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণ করতে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেন। ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমদ বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণের আদেশ দেন। ওইদিনই তাকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমান হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২০০৫ সালে অপসারণের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে ইদ্রিসুর রহমান নামে এক আইনজীবী সুপ্রীমকোর্টে আপীল করেন। বুধবার আপীল বিভাগ শুনানি শেষে রাষ্ট্রপতির অপসারণের আদেশ বহাল রাখলেন। খালাস রায় বাতিল ॥ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার মামলায় ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশের নেতা মুফতি শহিদুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক এমপি হারুনর রশিদকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। ফলে দু’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা (নিম্ন) বিচারিক আদালতে চলতে আর কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। দুদকের করা আবেদন শুনানি করে বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। বরখাস্তের আদেশ স্থগিত ॥ মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন টুকুর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে টুকুর দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।একই সঙ্গে আদালত রুলও জারি করেন। রুলে চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন টুকুর বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিবসহ আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও ইমরুল হায়দার। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
×