ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গী অর্থায়ন

আরেক মামলায় ব্যবসায়ী এনামুলের জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আরেক মামলায় ব্যবসায়ী এনামুলের জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জঙ্গী অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এনামুল হক বুধবার আরও একটি মামলায় জবানবন্দী প্রদান করেছেন। চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইসলামের আদালতে তিনি এ জবানবন্দী দেন। তবে এতেও তিনি জঙ্গী অর্থায়নের অভিযোগ অস্বীকার করে অর্থ প্রদানের বিষয়টিকে ব্যবসায়িক লেনদেন বলে দাবি করেন। আসামি পক্ষের কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট ইফতেখার হোসেন জানান, পোশাক কারখানা মালিক এনামুল হক তার জবানবন্দীতে জঙ্গী কর্মকা-ে অর্থায়নের অভিযোগ স্বীকার করেননি। আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি বলেছেন, ব্যবসায়িক লেনদেনের অংশ হিসেবে তিনি টাকা গ্রহণ করেছিলেন। পরে সে টাকা কাজে না লাগায় ফেরত দিয়েছেন। ফেরত দেয়ার সময় তিনি তার দস্তখত এবং মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়েছিলেন। চট্টগ্রামভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে অর্থ সহায়তার অভিযোগে গোল্ডেন টাচ এ্যাপারেলের পরিচালককে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর টঙ্গীর তুরাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাকে বাঁশখালীর লটমনি পাহাড় থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তারপর মামলার আসামি করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হাটহাজারী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায়। বুধবার তিনি জবানবন্দী দেন হাটহাজারীর মামলায়। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বাঁশখালী আদালতে তিনি জবানবন্দী প্রদান করেছিলেন অপর মামলায়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় মাদ্রাসাতুল আবু বকর নামের একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে যে, তারা জঙ্গী সংগঠনের হামজা ব্রিগেডের সদস্য। মাদ্রাসাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছিল সংগঠনটির তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে। সেই অভিযান ও গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে র‌্যাবের আরও দুটি বড় অভিযান পরিচালিত হয় বাঁশখালী এবং চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর গোল্ডেন আবাসিক এলাকায়। এ দুই অভিযানে উদ্ধার হয় আরও কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। জঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে তাদের অর্থের যোগানদাতাদের নাম। গত ১৮ আগস্ট ঢাকার ধানম-ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে। বাকি দু’জন হলেন-এ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান চৌধুরী লিটন এবং এ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন। তারা হামজা ব্রিগেডের শীর্ষ নেতা মনিরুজ্জামান ডনের এ্যাকাউন্টে অর্থ দিয়েছেন বলে র‌্যাবের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। অর্থদাতাদের মধ্যে ব্যারিস্টার শাকিলা বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ ও গবেষণা সম্পাদক সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক।
×