স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ডিসেম্বরে ভারতের কেরলে অনুষ্ঠিত হবে সাফ ফুটবলের জমজমাট আসর। বুধবার দুপুরে ভারতের নয়াদিল্লীর হোটেল আইটিসি মারিয়া হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টের ড্র। ড্র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লী যান সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। সাফ ফুটবলে কঠিন গ্রুপেই পড়েছে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে অবস্থান ‘বেঙ্গল টাইগার্স’দের। যেখানে তাদের সঙ্গী গতবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান। রয়েছে শক্তিশালী মালদ্বীপ এবং ভুটান। তুলনামূলক ভুটানই বাংলাদেশের কাছে স্বস্তিকর প্রতিপক্ষ। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে সর্বোচ্চ ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। সঙ্গে আছে পাকিস্তান। অপর দুই দল হলো নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাফ ফুটবলের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। আগামী ২৩ ডিসেম্বর কেরলে শুরু হবে সাফ ফুটবলের একাদশ আসর। শেষ হবে আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি।
কেরলে ত্রিভানদ্রাম আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে দুই গ্রুপে মোট আট দল লড়বে। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল উঠবে সেমিফাইনালে। ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। বাংলাদেশের খেলাগুলো হবে ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় আফগানিস্তান, ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় মালদ্বীপ এবং ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় ভুটানের বিপক্ষে।
‘আমরা এখন যে ধরনের ফুটবল খেলি, তাতে করে এখনই এশিয়ার সেরা দল হওয়া এবং কিংবা বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়াটা অসম্ভব। এটাই বাস্তবতা। তবে আমরা যে পর্যায়ে নিজেদের সেরা হিসেবে প্রমাণ করতে পারি, তা হলো সাফ ফুটবলে। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এখনও সাফের শিরোপা জিতেনি। সেই ২০০৩ সালে বাংলাদেশ শিরোপা জিতেছিল। এবার আমরা চেষ্টা করব, সাফের শিরোপা জিততে।’ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের ভাষ্য।
বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা বাকি তিন দলের মধ্যে আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের এই শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত আসরে নেপালকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরে আফগানিস্তান। আর মালদ্বীপ তাদের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল ২০০৮ সালে। বাংলাদেশের গ্রুপে তুলনামূলক দুর্বল দল ভুটান। এই প্রতিযোগিতায় দলটির সেরা সাফল্য ২০০৮ সালের সেমিফাইনালে খেলা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: