ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৬ সেপ্টেম্বর ॥ ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। লক্ষ্মীপুর থেকে ছেড়ে আসা ফেরি কিষানী বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছে। এতে করে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলের সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনের কারণে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট নির্মাণ করতে না পারায় ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি চলাচল করছে। এতে করে ৯ ঘণ্টা সময় লাগছে যেমন, তেমনি যানবাহনের ভাড়াও দ্বিগুণ লাগছে। ফলে যাত্রী ও পরিবহন ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ তেমন একটা কমেনি। বিআইডব্লিউটিসির ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিসের দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক আবু আলম হাওলাদার জানান, ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোর ৪টায় লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাট থেকে কিষানী নামক ফেরিটি ভোলার উদ্দেশে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস নিয়ে ছেড়ে আসে। ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটটি মেঘনার ভাঙ্গনে ৩ দফা বিধ্বস্ত হওয়ায় সরকারী সিদ্ধান্তে ভোলা-বরিশাল রুটের ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় ফেরিটি পৌঁছে। অপরদিকে যাত্রীরা জানান,আগে ভোলার ইলিশা থেকে মজু চৌধুরী ঘাটে ফেরি চলাচল করতে যেখানে আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা লাগত এখন ৯ ঘণ্টা সময় লাগায় যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। কুড়িগ্রামে ধর্ষণের শিকার শিশু হাসপাতালে কাতরাচ্ছে স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ নাগেশ^রী উপজেলায় ১২ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক আনোয়ারকে পুলিশ আটক করলেও গ্রাম্য মাতব্বরের পাতানো সালিশের নামে ছেড়ে দেয়া হয়। ধর্ষিতা শিশুটি এখন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও মাতব্বরদের বক্তব্য পরস্পর বিরোধী। ঘটনার ৭দিন পর মামলা রেকর্ড করা হলেও পুলিশ আসামি ধরতে পারেনি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে চলছে তোলপাড়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার নানা বাদী হয়ে কচাঁকাটা থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়- নাগেশ^রী উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের গাবতলা হাজিপাড়া এলাকার অপিয়ত আলীর শিশু কন্যাকে প্রতিবেশী মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আনোয়ার গত বুধবার (৮/৯/১৫) ভোরে ধর্ষণ করে। আনোয়ার ঐ শিশুকে ঢাকায় গৃহকর্মী হিসাবে রাখে। প্রায় ২ বছর তার কোন খোঁজ ছিল না। এ নিয়ে চাপ দিলে সে ঢাকা থেকে শিশুটিকে বুধবার রাতে নাগেশ^রীতে নিয়ে আসে। দুধকোমর নদী পেরিয়ে দুর্গম ঐ গ্রামে পৌঁছতে ভোর হয়ে যায়। এই সুযোগে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আনোয়ার। একপর্যায়ে শিশুটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে আনোয়ার শিশুটির নানাবাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয় নানা। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাতব্বর আব্দুল করিম, আতিকুল ইসলাম রাজাসহ কয়েকজন মাঠে নামে। সালিশে আনোয়ারের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে আনোয়ারকে থানা হাজত থেকে ছাড়িয়ে আনে আব্দুল করিম মাতব্বর। এরপর আতিকুল ইসলাম রাজার সহযোগিতায় ধর্ষক আনোয়ার পালিয়ে যায়। ধর্ষিত শিশুটিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে কাতরাতে দেখা যায়। এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
×