ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ আনন্দে সঙ্গীতের তারকারা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঈদ আনন্দে সঙ্গীতের তারকারা

বেলাল খান ( সঙ্গীত শিল্পী) বেলাল খান তার ছোট বেলার ঈদ নিয়ে বলেন, ছোট বেলার ঈদ আর এখনকার ঈদের মধ্যে বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আমার কেন জানি মনে হয় এখন মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা কমে যাচ্ছে। যে যার মতো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। আগে বন্ধুরা সকলে ঈদের দিন দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতাম। আমার ছোট বেলা গ্রামে কেটেছে। তাই দেখতাম ঈদের সময় গ্রামে নানা খেলার আয়োজন হত। এখন আর এসব দেখা যায় না। ছোট বেলা নতুন জামা জুতা পরে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যেতাম। এখনও যাই, তবে আগের মতো আর দল বেঁধে নামাজ পড়তে যাবার আনন্দটা পাই না। ছোট বেলা নিজে নতুন জামা, জুতা আলাদা করে রাখতাম আর হাতে মেহেদি দেবার জন্য রাতভর অপেক্ষা করতাম। এমন হয়েছিল একদিন মেহেদি দেবার জন্য জেগেছিলাম পরে ঈদের দিন সকালে উঠে দেখি আমার হাতে মেহেদি নেই। এর জন্য আমি ঈদের সারাদিন কেঁদেছিলাম। এ ধরনের আরও নানা মজার ঘটনা আছে যা এখন মনে পড়লে খুব হাসি পায়। আর যখন সালামি পেতাম তখন খুব ভাল লাগত। আর এখন আমার ছেলেমেয়েদের ঈদের আনন্দ দেখে আমার ছোট বেলার কথা মনে হয়। কারণ এক সময় সেলামি নিতাম আর এখন নিজেকে সেলামি দিতে হয়। ঈদে সকালে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যাই। ঈদে সাধারণত আমি পাঞ্জাবি পরি। ঈদের দিন আমার মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করি। এখন ঈদে অনেক ব্যস্ত সময় কাটে। এমনও দেখা যায় ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কাজ করতে হয়। তাছাড়া ঈদে বিভিন্ন চ্যানেলে ও নানা জায়াগায় স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এবারের ঈদে আমার বেশ কিছু এ্যালবাম আসছে, তার মধ্যে অচিনপুর, প্রেমকাব্য, আলিঙ্গন উল্লেখযোগ্য। গত ঈদে রিলিজ হওয়া আমার সলো এ্যালবাম ‘আরেকটি বার’ থেকে একটি গানের মিউজিক ভিডিও আসবে। ফাহমিদা নবী (সঙ্গীত শিল্পী) জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী তার ছোট বেলার ঈদ উদযাপনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ছোট বেলা থেকেই দেখেছি আমাদের দেশের মানুষ অনেক উৎসব প্রিয়। ছোট বেলায় ঈদের আমেজ ছিল অন্য রকম। এমন হতো ঈদের আগের রাতে আমাদের বাড়িতে মিটিং বসতো ঈদের দিন আমরা কে কোথায় যাব, কেমন পোশাক পরব। মিটিং থেকে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করা হতো। আমরা দলনেতার নির্দেশ অনুযায়ী চলতাম। তখন নিয়মিত নানা জায়গায় বেড়াতে যাওয়া হতো। সেলামি নিতাম আর এখন নিজেকে সেলামি দিতে হয়। তবে সেলামি নেয়া ও দেয়া দু’টোরই দু’রকম আনন্দ আছে বলে আমার মনে হয়। তবে এখন সেলামি দেয়া খুব উপভোগ করি। এখন আপনার ঈদ কেমন কাটে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন ঈদে প্রায় সময়ই দেখা যায়, আমার গানের প্রোগ্রাম থাকে। স্টেজ বা টিভি শো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আসলে এখন ইচ্ছে থাকলেও ঘুরে বেড়ানোর সময় বের করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। ঈদের শপিং নিয়ে যদি কিছু বলেন, ছোট বেলা ঈদে নিজের জন্য শপিং করতাম। এখন আর নিজের জন্য শপিং করা হয় না। এখন আমাকে শপিং করে দিতে হয়। ঈদে নতুন গান যেগুলো আসে সেগুলো শোনার চেষ্টা করি। আপনার কাটানো ছোট বেলার ঈদ আর এখনকার ঈদ মধ্যে বিশেষ কি পরিবর্তন দেখতে পান, এ বিষয়ে ফাহমিদা নবী বলেন, এখন যেমন ছেলেমেয়েদের নির্দিষ্ট পোশাক পরতেই হবে, খুব সুন্দর করে সাজাতে হবে আগেও ছিল তবে এখনকার মতো নয়। ঈদের দিনে সবাইকে বলবো, ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি সবাই যেন সিডি কিনে গান শুনি। সবাই যেন আমরা আরোও বেশি বেশি বাংলা গান শুনি।
×