ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উৎপাদন ব্যাহত

রেল কারখানায় লোকবল সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রেল কারখানায় লোকবল সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ফাউন্ড্রি শপে (উপকারখানা) লোকবল সঙ্কটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে ওই কারখানায় তৈরি করা যন্ত্রাংশের অভাবে রেল চলাচলে বিঘœ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ফাউন্ড্রি শপে ফেরাস ও নন-ফেরাস ঢালাইয়ের কাজ হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে তৈরি হয় রেলইঞ্জিন, ব্রেক, জ্বালানি তেলবাহী যান (বিটিও), বড় ও ছোট লাইনের ক্যারেজের যন্ত্রাংশ। শপের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী এস এ নূরুল হুদা বলেন, ফাউন্ড্রি শপে লোকবল বা মঞ্জুরি পদ ১২৮টি। বর্তমানে আছেন মাত্র ৬১ জন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ শপের আরও ছয় শ্রমিক অবসরে যাবেন। ফলে উৎপাদন ঘাটতিতে পড়বে শপটি। কারখানার ফাউন্ড্রি শপে যে যন্ত্রাংশ তৈরি হয় তা অন্য কোন উৎস থেকে পাওয়া সম্ভব না। ফলে এখানে উৎপাদন ঘাটতি হলে সারা দেশে রেল চলাচলে বিঘœ ঘটতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, একটি ডিজেল ইঞ্জিনে (লোকোমোটিভ) ছয় জোড়া সাপোর্ট বিয়ারিং লাগে। এগুলো চলে সর্বোচ্চ তিন মাস। সে অনুযায়ী ফাউন্ড্রি শপে প্রতি কর্মদিবসে ৪০ জোড়া সাপোর্ট বিয়ারিং বানানোর লক্ষ্যমাত্রা আছে। আর মাসে সব ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি হওয়ার কথা চার হাজার পিস। কিন্তু লোকবল সঙ্কট ও অর্থ বরাদ্দ কম হওয়ায় এখন মাসে দুই হাজারেরও কম যন্ত্রাংশ বানাতে হচ্ছে। ফাউন্ড্রি শপের মিস্ত্রি মাহবুবার রহমান বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ২৯টি উপকারখানার মধ্যে ফাউন্ড্রি শপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরনো আমলের (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে চলে। বিশাল চুল্লিতে উচ্চ তাপমাত্রায় গলানো হয় লোহা ও পিতল। এ লোহা ও পিতল ছাঁচে ঢেলে বানানো হয় এসব রেল যন্ত্রাংশ। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উৎপাদন প্রকৌশলী (পিই) আমিনুল হাসান লোকবল সঙ্কটে উৎপাদন কমে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
×