ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে এবারের বন্যায় প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চরাঞ্চালের হাজার হাজার শিক্ষার্থী আসন্ন মডেল টেস্ট,এসএসসির টেস্ট,পিএসসি, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত । জেলার ওপর দিয়ে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকমারসহ ১৬টি নদ-নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে এক শ’ ৪৭ দশমিক ২০ কিমি দৈর্ঘ্যরে নদীপথে ছোট-বড় সাড়ে চার শতাধিক চর। এসব চরাঞলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২শ’ ৮৩টি সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিলীন হয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা। ক্ষতিগ্রস্ত এক শ’ ৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৯১টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যা সরকারী হিসাব মতে এবারের বন্যায় ২ কোটি ৮২ লাখ ৮৩ হাজার পাঁচ শ’ টাকা। আর এতে করে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী আসন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পড়েছে বিপাকে। দু’দফার বন্যার কারণে টানা ২০দিনের মতো স্কুল বন্ধ থাকায় ক্লাস হয়নি। আর এতে পরীক্ষার্থীরা পড়েছে দুশ্চিন্তায়। এছাড়া অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের শিকারের পাশাপাশি দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্লাস ঠিকমতো হচ্ছে না।আবার অনেক শিক্ষার্থীর বই-খাতা নষ্ট হয়ে গেছে। ভোগডাঙা পরমালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর আহসান হাবীব, পাঁচগাছী স্কুলের রবিউল,কুলসুম জানায় তাদের স্কুলে এবং বাড়িতে পানি ওঠায় তাদের স্কুল বন্ধ ছিল। ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটেছিল। বর্তমানে মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। ভোগডাঙ্গার মাঠেরপার গ্রামের মালেক নওসের আলী জানান, বন্যার পানি স্থায়ী হওয়াতে বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ায় অনেকের ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করতে পারেনি। স্কুল ভবনে বন্যার সময় আশ্রয় নেয়ায় অনেক স্কুল বন্ধ ছিল। নানা সমস্যার মধ্যে পড়েছে তাদের সন্তানরা। প্রধান শিক্ষক ফজলে এলাহী তমাল জানান, বন্যার কারণে দু’দফা বিভিন্ন চর-দ্বীপচরে কয়েক শ’ স্কুল বন্ধ ছিল। এতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে। তার প্রভাব পড়েছে বর্তমানের মডেল টেস্ট পরীক্ষায়। জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী জানান, আমরা স্কুলগুলোকে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার নির্দেশ দিয়েছি।
×