ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে মরিয়া হয়ে ওঠা শরণার্থীদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের সরকারগুলো শুক্রবার এক দেশের সীমান্ত থেকে অন্য দেশের সীমান্তে ঠেলে দেয়। এতে ইউরোপের শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে উত্তেজনার মাত্রা আরও চড়ে যায়। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ক্রোয়েশিয়া তার ভূখ-ে আগত শরণার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজারেরও বেশি হওয়ার পর তার খোলা দরজা নীতি পাল্টে দিয়েছে। দেশটি হাজার হাজার শরণার্থীকে বাসে করে উত্তর দিকে পাঠানোতে সেøাভেনিয়া ও হাঙ্গেরি ক্ষুব্ধ হয়েছে। হাঙ্গেরি নবাগত শরণার্থীদের অস্ট্রিয়াতে পাঠাচ্ছে বলে জানা যায়। ক্রোয়েশিয়া সংলগ্ন সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া তৈরি করছে হাঙ্গেরি।
বুদাপেস্ট বলেছে, মধ্যরাতে নতুন কাঁটা তারের বেড়ার শেষ অংশটি আটকে দেয়ায় আগেই ৪ হাজার ৪শ’ শরণার্থী ক্রোয়েশিয়া থেকে হাঙ্গেরি পৌঁছায়। সেøাভেনিয়া বলেছে, সে তার ভূখ-ের ভেতর দিয়ে শরণার্থীদের জন্য ‘করিডর’ নির্মাণের কথা বিবেচনা করছে এবং ১০ হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করবে। হাঙ্গেরি তার সার্বিয়া সংলগ্ন সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর চলতি সপ্তাহে সার্বিয়া থেকে হাজার হাজার শরণার্থী ক্রোয়েশিয়া আসতে শুরু করে। তাদের অনেকেই সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধের কবল থেকে রেহাই পেতে পালিয়ে এসেছে। ক্রোয়েশিয়া অভিবাসীদের স্বাগত জানাবে বলে প্রথমে ঘোষণা করেছিল, কিন্তু শুক্রবার দেশটি আর শরণার্থীদের জায়গা দিতে পারছে না এবং সে এক ‘অভিবাসী আস্তানা’য় পরিণত হবে না বলে জানায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী র্যানকো ওস্তোজিচ বলেন, বুধবার সকাল থেকে ১৭ হাজারেরও বেশি শরণার্থী এসে পৌঁছায় এবং ৩ হাজার এখন সীমান্ত পেরিয়ে হাঙ্গেরি পৌঁছেছে। হাঙ্গেরি চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে নেয়া অবস্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং নতুন শরণার্থীদের নিজ ভূখ-ে প্রবেশ করতে দিয়েছে। একটি ট্রেন ১ হাজার শরণার্থী নিয়ে হাঙ্গেরি পৌঁছলে কর্তৃপক্ষ সেটি আটক ও চালককে গ্রেফতার করে। হাঙ্গেরির দুর্যোগ বিষয়ক ইউনিট একথা জানায়।
হাঙ্গেরি অভিবাসীদের দুটি রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এগুলো অস্ট্রিয়া সংলগ্ন সীমান্তে অবস্থিত।অস্ট্রিয়া বলেছে, শরণার্থীদের গ্রহণ করার বিষয়ে হাঙ্গেরির সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। যারা আশ্রয় চাইবে না তাদের ঢুকতে না দেয়ার অধিকার আফ্রিকার রয়েছে, কারণ তারা জার্মানি বা অন্যত্র যেতে চায়। পৃথক ঘটনায় শত শত অভিবাসী পশ্চিমে সেøাভেনিয়ার দিকে রওনা হয়ে যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: