ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নৃশংস নির্যাতনের শিকার, অলৌকিকভাবে উদ্ধার

যেভাবে রক্ষা পেল আইএসের হাতে আটক ইয়াজিদি নারী

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যেভাবে রক্ষা পেল আইএসের হাতে আটক ইয়াজিদি নারী

ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বেঁচে যাওয়া ভাগ্যবতী নারীদের একজন জালিলা। গত বছরের আগস্টে যখন জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরাকের সিনজার প্রদেশে হামলা চালিয়ে যে হাজার হাজার নারী ও মেয়েকে ধরে নিয়ে যায় তাদের মধ্যে জালিলা একজন। এইসব নারী ও মেয়েকে আইএস জঙ্গীরা গৃহ ও যৌন দাসী হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে সে যখন সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে দিয়র এজরে এক বাড়িতে ছিল তখন মার্কিন সৈন্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধারের সময় আবু সায়াফ নামে এক তিউনিশীয় আইএস সদস্য হত্যা করে এবং তার কমবয়সী ইরাকী স্ত্রীকে আটক করে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি ছিল আইএস নিয়ন্ত্রিত ভূখ-ে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর প্রথম সফল অভিযান। এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে তারা আইএসের হাতে আটক মার্কিন বন্দীকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আবু সায়াফ আইএসের এক সিনিয়র সদস্য ছিল এবং তার তত্ত্বাবধানে তেল, গ্যাস ও আর্থিক ব্যবসায় লাখ লাখ ডলার আয় করেছে জঙ্গী সংগঠনটি। এর পরই জানা গেছে, এর আগে আবু সায়াফ মার্কিন বন্দী কাইলা মুলাকে অপহরণ ও তাকে নির্যাতনের সঙ্গেও জড়িত ছিল। জালিলা জানায়, আইএস জঙ্গীরা তাকে অপহরণের পর পরিবার থেকে আলাদা করে ফেলে এবং ইরাকের দ্বিতীয় শহর মসুলে তাকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। তবে জালিলাকে যখন থেকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে না দেয় এবং জঙ্গীরা তাকে জানায় যে, তার পরিবারের সদস্যরা মারা গেছে, তখন থেকেই সে ঝামেলা করা শুরু করে। সে তাদের সঙ্গে তর্ক করে বলে, আপনারা এসব আল্লাহর জন্য করছেন। এসব করছেন যৌনকার্য ও নারীদের নির্যাতনের জন্য। অন্য ইয়াজিদি মেয়েদের মতো জালিলাও বিবাহিত হওয়ার ভান করে। তবে তারা দ্রুতই তার মিথ্যা ধরে ফেলে। একগুঁয়েমির কারণে তার স্থানে অন্য ইয়াজিদি মেয়ে আনে জালিলার ‘মালিক’। আর জালিলাকে মার্কিন অভিযানের এক সপ্তাহ আগে আবাসিক ব্লকে বহুতল এ্যাপার্টমেন্টে আবু সায়াফের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে গিয়েও সে ঝামেলা শুরু করে। জালিলাকে আবু সায়াফের স্ত্রী উম্মে সায়াফের সেবার নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু জালিলাকে দেখেই অপছন্দ করে উম্মে সায়াফ এবং তার ওপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে। এর এক সপ্তাহ পর মধ্যরাতে মার্কিন বিশেষ বাহিনী ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। ভারি অস্ত্রে সজ্জিত সৈন্যদের দিকে আবু সায়াফ তার পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে এবং সৈন্যরা তখন আবু সায়াফকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় জালিলা চিৎকার করতে থাকে, সে ইয়াজিদি।- টাইমস অব ইন্ডিয়া
×